বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হবে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আদালতে বসবেন না ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চের (বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রও আছℱেন) 'সিটিং' বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই বেঞ্চে যে যে মামলা ছিল, সেগুলি শুনানির জন্য গৃহীত হবে না। তবে ক⛎বে ফের সেই মামলার শুনানি হবে, তা আপাতত জানানো হয়নি।
RG কর হাসপাতালে আসবেন তরুণীর বাবা-মা
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের 🧸দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী) ধর্ষণ এবং খুনের ꧋মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে মামলা শুনছে, সেটার শুনানি ৫ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা ছিল। গত ২২ অগস্ট সেই দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেজন্য আজ (বুধবার) আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আরজি কর মেডিক্যাল এবং হাসপাতালে আসার কথা আছে তরুণী চিকিৎসক বাবা এবং মায়েরও।
সেই শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিল পুরো পশ্চিমবঙ্গ। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে সিবিআই কী রিপোর্ট দেয়, তদন্ত নিয়ে কী তথ্য প্রদান করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কী বলা হয়, সেদিকে নজর ছিল সকলের। তবে সন্ধ্যায় সুপ্রিম൲ কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে বৃহস্পতিবার প্রধান বি🌺চারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বসছে না।
হতাশ তরুণী চিকিৎসকের কাকিমা
সেই খবর পেয়ে হতাশ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তরুণী চিকিৎসকের কাকিমা। সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দে তিনি জানান, ৫ সেপ্꧃টেম্বরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তাঁরা। শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়েছেন। তবে আজ রাতে তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মায়ের যেমন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল, তাঁরা তেমনই যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
'ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ভঙ্গ হয়েছে', দাবি সন্দীপের
তারইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দী♔প ঘোষ। আরজি করের আর্থিক অনিয়মের মামলা যে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের দাবি, ঠিকমতো বক্তব্য পেশের সুযোগ পাননি কলকাতা হাইকোর্ট। তাতে স্বাভাবিক ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ভঙ্গ হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সং𒆙স্থা সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দেওয়ার সময় তাঁর দিকটাও বিবেচনা করে দেখা উচিত ছিল হাইকোর্টের।