সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রোলিং কতটা ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে, তা নিয়ে আলোচনা বিস্তর চলছে। এদিকে, শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই ট্রোলিং-এর শিকার হওয়া নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন দেশে🅺র প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ট্রোলিং-এর ঘটনাটি ঘটেছে সদ্য ৪ থেকে ৫ দিন আগে। প্রধান বিচারপতি বলছেন, ‘৪ থেকে ৫ দিন আগের কথা। আমি একটি মামলার শুনানিতে ছিলাম। এই সময় আমার পিঠে একটু ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল। তখন আমি আমার কনুই কোর্টে চেয়ারের ওপর রেখেছিলাম। আর চেয়ারের পজিশন পাল্টে একটু সরে গিয়েছিলাম।’ সিজেআই বলছেন, ঘটনা নিয়ে এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউজাররা এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক ট্রোল করেন তাঁকে। সিজেআই বলছেন, এমনও দাবি করা হয়েছিল যে, কোর্টে সওয়াল জবাবের মাঝে নাকি তিনি সেখান থেকে উঠেছিলেন। তবে প্রধানবিচারপতি বলেন, আমি যেটা করেছি, সেটা হল শুধু চেয়ারে নিজের বসার অবস্থানটা পাল্টেছি। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে সিজেআই বলছেন, ‘২৪ বছর ধরে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত বিষয় দেখভাল করাটা কঠিন হয়, যা আমি করে এসেছি। তাও আমি কোর্টকে ছাড়িনি। সেই দিনও আমি কেবল নিজের জায়গা বদলেছিলাম, তবে এটা নিয়ে ভয়ঙ্কর দুরಌ্ব্যবহার আর ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে আমায়।’
অনুষ্💧ঠানে দেশের বিচারব্যবস্থার উপর আস্থার বিষয়েও মুখ খোলেন প্রধান বিচারপতি। বিচারব্যবস্থা নিয়ে নানান অভিযোগ সত্ত্বেও তা যে সাধারণ মানুষকে তার সেবা দিয়ে চলেছে, তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন,'আমাদের কাঁধ যথেষ্ট প্রশস্ত, এবং আমরা যে কাজটি করি তাতে স🌳াধারণ নাগরিকদের চূড়ান্ত আস্থা রয়েছে।' এদিন তাঁর বক্তব্যে ‘ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স’ প্রসঙ্গও উত্থাপিত হয়। তা নিয়ে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জোড় দিচ্ছেন জুডিশিয়াল অফিসারদের কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মাঝে ভারসাম্য রাখার ক্ষেত্রে। তিনি আইনজীবীদের কথাবার্তা নিয়েও মন্তব্য করেন। চন্দ্রচূড় বলেন, ‘ ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসাবে, আমি দেখি অনেক আইনজীবী এবং মামলাকারীরা যখন আদালতে আমাদের সাথে কথা বলে তখন তারা সীমা অতিক্রম করেন।’ এর সমাধান হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলছেন, ‘ এই মামলাকারীরা যখন সীমারেখা অতিক্রম করেন, তখন উত্তরটি অবমাননার (আদালতের) ক্ষমতা ব্যবহার করা নয়, বরং তাঁরা কেন সীমারেখা অতিক্রম করেছেন, তা বোঝা।’