কয়লার জোগান কম। তাই উৎসবের মরশুমে সারা দেশে বিদ্যুৎ সংকট তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, অতি বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন কয়লা খনিগুলিতে কয়লা উত্তোলন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কয়লা জোগানও তাই অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রেই পৌঁছাচ্ছে না। বৃষ🍒্টি না কমলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সূত্রের খবඣর, দেশের গত মাসের শেষের দিকে বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চার দিনের কয়লা মজুত ছিল বলে জানা গিয়েছে। গত অগস্ট মাসের শুরুতেও যেখানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে ১৩ দিনের কয়লা মজুত ছিল, সেখানে গত মাসে এত কম কয়লা মজুত থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের চিন্তা বেড়েছে। ভারতে ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লার মাধ্যমে। কয়লার জোগান কম থাকার জন্য অ্যালিমিয়াম, স্টিল উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশীয় উৎপাদনের উপর ভরসা করতে হচ্ছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে। তবে এই পরিস্থিতিতে চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে দেশের কিছু অংশে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতের কয়লা মন্ত্রকের সচিব অনিল কুমার জৈন জানান, বৃষ্টির কারণে কয়লা উৎপাদন ধ♔াক্কা খেয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রী আর কে সিং জানান, ‘এটা বিদ্যুৎ সংকট নয়। আমরা দেশের চাহিদা পূরণ করছি। কিন্তু চাহিদা বেড়েই চলেছে। আমরা কয়ল♍া সরবরাহের বিষয়টিতে নজর রাখছি। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। কারণ প্রতিদিন কয়লা তোলা হচ্ছে। তাই আমরা প্রতিদিন পরিস্থিতির উপর নজর রꦺাখছি। একটা বড় সমস্যা হল ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ে বৃষ্টি। যার ফলে কয়লা উত্তোলনে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি সব ঠিক থাকবে।’