সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে সোমবার শপথগ্রহণ করলেন হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতি। তাঁরা হলেন - বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল, বিচারপতি সঞ্জয় কারোল, বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার, বিচার🦄পতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহ এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। তার ফলে শীর্ষ আদালতে মোট বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২। শীর্ষ আদালতে সর্বোচ্চ ৩৪ জন বিচারপতি থাকতে পারেন।
বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল
গত বছর ১৪ অক্টোবর থেকে রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৬১ সালের ১৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় কমার্সে স্নাতক হয়েছিলেন। মীরাট কলেজ থেকে ১৯৮⭕৫ সালে এলএলবি উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। সেই বছর উত্তরপ্রদেশের বার কাউন্সিলে 𒆙নাম নথিভুক্ত করেছিলেন।
বিচারপতি সঞ্জয় কারোল
সোম🎐বার যে পাঁচ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সিনিয়রদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন। এতদিন পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৬১ সালের ২৩ অগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। যিনি শিমলার সেন্ট এডওয়ার্ড স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। তারপর শিমলার গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হয়েছিলেন।
বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার
সুপ্রিম কোর্টে পদোন্নতির আগে মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৬৩ সালের ১৪ অগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। হায়দরাবাদের নিজাম কলেজ থেকে কমার্♑সে স্নাতক নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি করেছিলেন বিচারপতি কুমার। যিনি ১৯৮৮ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের বার কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন।
বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহ
পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৯৬৩ সালের ১১ মে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালের ২৭💛 সেপ্টেম্বর বিহারের বার কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করে🐈ছিলেন। ২০০৬ সালের মার্চ থেকে ২০১০ সালের অগস্ট পর্যন্ত রাজ্য সরকারের আইনজীবী ছিলেন বিচারপতি আমানুল্লাহ।
বিচারপতি মনোজ মিশ্র
১৯৬৫ সালের ২ জুন জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি মিশ্র। ১৯৮৮ সালের ২ ডিসেম্বর আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছিলেন। ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হꦯিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। ২০১৩ সালের ৬ অগস্ট স্থায়ী বিচার🦩পতি হিসেবে শপথগ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি মিশ্র।
উল্লেখ্য📖, কলেজিয়াম প্রথা নিয়ে দীর্ঘಞদিন ধরেই অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার। রীতিমতো খোলাখুলি মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তারইমধ্যে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর ওই পাঁচ বিচারপতির নাম সুপারিশ করেছিল কলেজিয়াম। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাতে কেন্দ্রের অনুমোদন মেলেনি। যা নিয়ে গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল হাইকোর্ট। তারপর শনিবার ওই পাঁচ বিচারপতির নামে অনুমোদন দেয় কেন্দ্র।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )