সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত হল অন্ধ্রের রায়লসীমা অঞ্চলের কর্নুল জেলা। ঘটনায় অন্তত ১২ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে পুলিশের তরফে। জানা গিয়েছে, প্রার্থনালয় তৈরি ঘিরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে শূন্য তিন রাউন্ড গুলি চালাতে হয়। ঘটনাটি কর্নুল জেলার আত্মাকুর শহরে ঘটে।জানা গিয়েছে রবিবার আত্মাকুর শহরে একে অপরের ওপর পাথর ছোড়ে দুই সম্প্রদায়। যানবাহনে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় স্থানীয় এক রাজনীতিকের গাড়িতেও। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান আত্মাকুর থানার ইন্সপেক্টর। আত্মাকুর থানার ইন্সপেক্টর বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় দাঙ্গা, সাম্প্রদায়িক আবেগ উস্কে দেওয়া এবং সম্পত্তি ধ্বংস সহ পাঁচটি মামলা দায়ের করেছি।’ পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে শহরের থোটাগেরিতে একটি বিতর্কিত জায়গায় একটি সম্প্রদায়ের লোকেরা একটি উপাসনালয় নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল। অন্য সম্প্রদায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভা, রাজস্ব দফতর ও পুলিশ কর্মকর্তারা এই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। জানা যায়, কোনও অনুমতি ছাড়াই এই উপাসনালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। তবে শনিবার ফের একবার নির্মাণ কাজ শুরু হলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।এদিকে জাতীয় রাজনৈতিক দলের এক নেতা ঘটনাস্থলে এসে নিজের সম্প্রদায়ের পক্ষে কথা বললে অপর সম্প্রদায়ের লোকেরা তাঁর উপর চড়াও হয়। সংঘর্ষের সময় পুলিশের উপরও লাঠি নিয়ে তেড়ে যায় অনেকে। এরপরই গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় তারা। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী পাঠান আত্মাকুরের ডিএসপি ইয়েরাগুন্টা শ্রুতি। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে তখন লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এলাকার সব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।