আয়কর অনাদায়ের মামলায় আজ সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেল কংগ্রেস। ভোটের মাঝে আর এই মামলার কোনও শুনানি হবে না। ৩৫০০ কোটি টাকার আয়কর অনাদায়ের মামলায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আপাতত কঠোর কোনও পদক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়ে দিল আয়কর দফতর। আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলাকালীন আয়কর দফতরের তরফ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, 'আমরা ভোটের মুখে কোনও রাজনৈতিক দলকে সমস্যার মধ্যে ফেলতে চাই না। এই আবহে এই মামলার পরবর্তী শানানি ভোটের পরে জুন মাসে হোক। এই সময়কালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আমরা কোনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করব না।' এরপরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয় ২৪ জুলাই। (আরও পড়ুন: ভোটের সময় সমস্♒যা… ৩৫০০ কোটির কর অনাদায় মামলায় কংগ্রেসকে লাইফলাইন আ✤য়কর দফতরের)
আরও পড়ুন: পান্নুনকাণ্ডে 'লাল রেখা' টানার বার্তা মার্কিন দূতের, পালটা প্রতিক্রিয়া জ♏য়শংকরের
আরও পড়ুন: আয়কর কাঠামোয় বদল নিয়ে ছড়াচ্ছ♓ে ভুয়ো খবর, নয়া অর্থবর্ষের শুরুতে সতর্ক করল কেন্দ্র
এদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আয়কর দফতরের তরফ তেকে কংগ্রেসকে 'স্বস্তি' দেওয়ার কথা বলতেই কংগ্রেসের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, 'আমি হতবাক এবং বাকরুদ্ধ।' এর প্রতিক্রিয়ায় বিচারপতি বিভি নাগরত্না বলেন, 'সবসময় নেগেটিভ ভাববেন না।' এদিকে আয়কর দফতরের তরফ থেকে বলা হয়, '২০২৪ সালে কংগ্রেসকে বকেয়া আয়করের ২০ শতাংশ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে তাদের থেকে ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপরে ১৭০০ কোটি টাকার পৃথক আয়কর অদায়ের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এখন এই বিষয়ে আয়কর দফতর কোনও পদক্ষেপ করবে না। ভোটের পরে এই বিষয়টি ফের দেখা হবে।' এদিকে সিংভির যুক্তি, 'আমরা কোনও লাভজনক সংস্থা নই। আমরা একটি রাজনৈতিক দল।' এর আগে কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, যে যুক্তিতে তাদের থেকে ৩৫০০ কোটি টাকা কর আদায়ের দাবি জানানো হয়েছে, সেই যুক্তিতে বিজেপিকেও ৪৬০০ কোটি টাকা কর দিতে হবে। (আরও পড়ুন: '…নিখুঁত নয়', ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে বড় মন্তব্য মোদীর, সঙ্গে হুঁশ♚িয়ারি বিরোধী🌺দের)
আরও পড়ুন: নিজের জগতেই 'হারিয়ে' চিন, নয়া 'পদক্ষেপ' অরুণাচল নিয়ে, নাম বদলে𓃲র খেলায় মজে বেজিং
আরও পড়ুন: 'একটাই সন্তান, ওর ꦺকোনও দম নেই', হ🌳িমন্তকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য আজমলের
এদিকে এই বিষয়ে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেন, 'এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু এটা স্পষ্টতই কংগ্রেস দলের আর্থিক উৎস বন💎্ধ করার ষড়যন্ত্র। কংগ্রেস পার্টি যাতে নির্বাচন লড়ার জন্য সমান ক্ষেত্র না পায়, তার জন্যেই এটা করা হচ্ছিল। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই নির্বাচন পর্যন্ত এই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, আয়কর দফতর আগেই আমাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। আমি জানি না সেই জিনিসটার কী হবে। তারা আমাদের অ্যাকাউন্ট 🏅থেকে টাকা নিয়ে গিয়েছে। তাদের তা কংগ্রেসকে ফেরত দিতে হবে। তাহলেই আমরা নির্বাচনে লড়তে পারব।'