রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে ভারতের বদনাম করছে ও ভারতের গণতন্ত্রের অপমান করছেন বলে অভিযোগ তুলে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এবার কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বিজেপির এই আক্রমণের পালটা জবাব দিলেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে সবসম🍌য় থাকেন। সাধারণ মানুষের সমস্যার কারণগুলিকে তিনি সবসময়ই তুলে এনেছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি তোলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
পেগাসাস বিতর্ক প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী জানিয়েছেন, সুপ্রিম ক🤡োর্ট পেগাসাস ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করেছে। কিন্তু সরকার এই কমিটিকে একেবারেই সহযোগিতা করছে না। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন সাংহাইতে গিয়েছিলেন তখন তিনি অত্যন্ত খারাপ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে। কংগ্রেস নেত্রীর দাবি, সেই সময় মোদী জানিয়েছিলেন কেন ভারতের জন্ম নিলাম তা নিয়ে ভারতের মানুষরা নিজেদের ভাগ💧্য়কে দোষারোপ করেন।
সুপ্রিয়া জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী চিন ও ভারতের মধ্যে একাধ🎶িক পার্থক্যেꦓ টানার চেষ্টা করেছেন। চিনের ♏জটিল ইকোসিস্টেম, আমেরিকার ফ্রি-ফেয়ার সমাজের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।ཧ এর সঙ্গেই কংগ্রেস নেত্রী জানিয়েছেন, আমেরিকা ও চিন এই দুই মেরুতে বিভাজন হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। আর সেখানে ভারতের বড় ভূমিকা রয়েছে। এটাই বোঝাতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেস নেত্রী জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী দেশের উৎপ🔯াদনশীলতা, আয়ের অসাম্য, বিপুল দারিদ্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন রাহুল গান্ধী।
এদিকে কেমব্রিজে বক𒁏্তব্য় রেখেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর আঘাত হেনেছে এমন পাঁচটি বিষয়কে তিনি তুলে ধরেছিলেন। মিডিয়া ও বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার, সংখ্যালঘু, দলিত ও ট্রাইবালদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে সহ একাধিক বিষয়কে তুলে ধরেন রাহুল গান্ধী। এদিকে বিজেপি এনিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তুমুল দোষারোপ করেছে। তাদের মতে বিদেশের মাটিতে বসে ভারতের মুখে কালি লেপন করছেন রাহুল গান্ধী। কেমব্রিজে বসে তিনি বলছেন, ভারতের গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানা হচ্ছে।
তবে কংগ্রেস নেত্রীর পালটা দাবি, চিনের সঙ্গে ভালোবাসা রয়েছে মোদীর। আর সেই ভালোবাসা এমনই যে তিনি শুধু চিয়ানের নাম নেন তাই নয়,ত꧅িনি তাদের ক্লিনচিটও দেন। কেন আমরা আমাদের পেট্রলিং পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ হারালাম? কেন বাণিজ্যেক্ষেত্রে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘাটতির দিকে টেনে নিয়ে গেলেন মোদী? এটা দেখা দরকার। প্রশ্ন কংগ্রেস নেত্রীর।