মঙ্গলবার প্রথম ভিডিয়োরনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানির আয়োজন হল। এই প্রথম বেঞ্চের সদস্য পাঁচ বিচারপতি আদালতের একটি ফাঁকা হলে বসে সংবিধান সংক্রান্ত মামলা শুনলেন। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাস থেকে করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে সশরীরে শুনানি।গতকাল বিচারপতি অরুণ মিশ্র, ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিনীত শরন, এম আর শাহ ও অনিরুদ্ধ বসু বেঞ্চে মাস্ক পরে এবং নিজেদের মধ্যে দুই ফিট দূরত্ব বজায় রেখে বেঞ্চে বসেন। তাঁদের সামনে পেশ হওয়া প্রথম মামলাটি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল ডিগ্রি কোর্সে সংরক্ষণের অধিকার সংক্রান্ত। এই মামলা করেছিল তামিল নাডু মেডিক্যাল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। শুনানির সূচনায় সিনিয়র অ্যাডভোকেট অরবিন্দ দাতার তাঁর সওয়াল সংক্রান্ত বিপুল নথিপত্র গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে সব আইনজীবীর কাছে পাঠান। এর মধ্যে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার আইজীবী বিকাশ সিংহ অভিযোগ করেন, তিনি গুগল ড্রাইভ খুলতে পারছেন না। এই নিয়ে তিনি দাতারের কাছেও অভিযোগ করেন। সমস্যা সমাধানে দাতারকে মামলার আইনি উদ্ধৃতি দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এর পর শুনানি এগোলে দাতারের কণ্ঠস্বর শুনতে পায় না আদালত। এতে রসিকতা করে বিচারপতি শাহ দাতারকে বলেন, ‘মাইকের সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব স্থাপন করবেন না।’সেই মন্তব্য শুনতে ভুল করে মাইক-এর জায়গায় ‘ওয়াইফ’ শোনেন দাতার। তাই নিয়ে একচোট হাসাহাসি হয় বেঞ্চে। শেষ পর্যন্ত বাদী-বিবাদী দুই পক্ষের লিখিত বিবৃতির ভিত্তিতে আগামী ২০ জুলাই মামলার রায় ঘোষণা নির্দিষ্ট করে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। কিন্তু এই মামলার শুনানিতে সময় ব্যয় হওয়ায় অন্য মামলার শুনানি ওই দিন হতে পারেনি। মঙ্গলবারই ভিডিয়োকনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে জীবনে প্রথম শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্টের বয়স্কতম বিচারপতি ফালি এস নরিমান। প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে ওই দিন তিনি উপস্থিত হলে প্রধান বিচারপতি বলে ওঠেন, ‘আপনাকে ভিডিয়োকনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বেঞ্চে দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দ হচ্ছে।’উল্লেখ্য, লকডাউনের মাঝে জরুরি মামলাগুলির শুনানি ভিডিয়োকনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে করতে VIDYO অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে শীর্ষ আদালতে।