রেলের শৌচালয় অপরিষ্কার থাকার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এবার শৌচালয় অপরিচ্ছন্ন থাকার খꦫেসারত দিতে হল রেলকে। দিল্লির একটি জেলা উপভোক্তা আদালত শৌচালয় নোংরা এবং অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে রেলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। মূলত যাত্রীকে মানসিক এবং শারীরিক হয়রানি করার দায়ে এমন নির্দেশ উপভোক্তা আদালতের। এরফলে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্থিতে পড়তে হয়েছে রেলকে।
আরও পড়ুন: ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু রোগীর, কলকাতার 𒆙ডাক্তারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
দিল্লির জেলা কনজিউমার ফোরাম ১ (উত্তর জেলা)–ღএর সভাপতি দিব্যাজ্যোতি জয়পুরিয়া এবং 𒐪সদস্য হরপ্রীত কৌর চর্যার বেঞ্চ জানিয়েছে, রেলওয়ে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় পরিষ্কার শৌচালয় এবং জলের মৌলিক সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যা অবশ্যই পরিষেবার ঘাটতিকে বোঝায়। অভিযোগকারীর দাবি, টিকিটের পুরো মূল্য নেওয়ার পরেও ট্রেনে দীর্ঘ যাত্রায় মৌলিক চাহিদা হিসেবে শৌচালয়ে জলের যোগান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, অভিযোগকারী আরামদায়ক এবং চাপমুক্ত যাত্রার জন্য ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ইন্দোর পর্যন্ত ৩এসি টিকিট কেটেছিলেন। সকা💦লে ফ্রেশ হওয়ার জন্য তিনি শৌচালয়ে যান। তখন তিনি দেখতে পান যে শৌচালয়গুলি নোংরা এবং হাত ধোয়ার মতো জল নেই। তাছাড়া বেসিনটিও নোংরা হয়ে পড়ে রয়েছে।কোনও স্টাফ সেখানে উপস্থিত না থাকায় অভিযোগকারী ভারতীয় রেলওয়ের অফিসিয়াল অনলাইন পোর্টাল ‘রেল মাদাদে’ ছবি সহ অভিযোগ জানান। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী এবং রেলওয়ে সেবার অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলেও একই বিষয়ে অভিযোগ জানান।
পরে ট্রেনটি ইন্দোর স্টেশনে পৌঁছালেও অভিযোগের সুরাহা হয়নꦬি। অভিযোগকারী দাবি করেছেন, যে তাকে 🌠টয়লেটে যাওয়ার জন্য দু ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। যার ফলে প্রচুর শারীরিক চাপ, মাথাব্যথা এবং কাজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। পরে উপভোক্তা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারী।
রেল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে উপভ🃏োক্তা আদালত বলেছে, জল হল মৌলিক সুবিধা যা অস্বীকার𒈔 করা যায় না। বর্তমান মামলার তথ্য ও পরিস্থিতিতে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া মামলা খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।