২০ বছর আগে একটি অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর শরীর থেকে সুচ বের করতে ভুলে গিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। যার♛ ফলে দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক যন্ত্রণায় ভোগেন ওই রোগী। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে অস্ত্রোপচার করা দুই চিকিৎসক এবং হাসপাতালকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল উপভোক্ত আদালত। ঘটনাটি কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালের। ৩০ দিনের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উপভোক্তা আদালত।
আরও পড়ুন: সন্তান প্রসবের পর মহিলার মৃত্যু, নার্সিংহোমকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষ🧔তিপূরণের নির্দেশ
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পদ্মাবতী নামে ওই মহিলার অ্যাপেন্ডিক্সের অস্ত্রোপচার হয়েছিল দীপক হাসপাতালে। তবে অস্ত্রোপচারের পরে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে তীব্র পেট ব্যথা এবং পিঠের ব্যথায🔯় ভুগছিলেন। পরে দুবার তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে কিছু ধরা পড়েনি। এরপর ২০১০ সালে অন্য একটি হাসপাতালে ꦉপরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা জানতে পারেন তার পেট এবং মেরুদণ্ডের মধ্যে একটি ধাতু রয়েছে। পরে জানা যায়, সেটি হল অস্ত্রোপচারের জন্য ব্যবহৃত সুচ। এরপরে অন্য একটি হাসপাতালে আবার মহিলার অস্ত্রোপচার করা হয়। তখন মহিলার মেরুদণ্ডের কশেরুকা থেকে ৩.২ সেমি সুচ বের করেন চিকিৎসকরা। তবে এই সময়ের মধ্যে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তিনি শারীরিক কষ্ট ভোগ করেন।
এদিকে, সুচ শরীর থেকে বের করার পরেই তিনি পরের বছর উপভোক্তা ফোরামে মামলা দায়ের করেন। যদিও ওই বেসরকারি হাসপাতাল এবং অ্যাপেন্ডিক্সের অস্ত্রোপচার করা দুই চিকিৎসক অভিযোগ অস্বীকার করেন। একইসঙ্গে তারা অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রে সাত বছরের বিলম্ব নিয়েও প্রশ্ন তোল🍌েন। মহিলার অভিযোগ ছিল, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে তাকে পেটে ও পিঠে অসহ্য ব্যথা এবং অবসাদের মধ্যে কাটাতে হয়েছে।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর উপভোক্তা আদালত ওই হাসপাত🦄াল এবং দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতি খুঁজে পায়। তার ভিত্তিতে ওই হাসপাতাল, ডাঃ শিবকুমার এবং ডাঃ এইচ এ🔥ন নাগরাজকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও, ওই মহিলার মামলা খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ, পুরো ক্ষতিপূরণ ও মামলা খরচের টাকা ৩০ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। তার থেকে দেরি হলে ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।