ভয়াবহ দুর্ঘটনা করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। মালগাড়ির উপর উঠে এল ক🍬রমণ্ডলের কামরা। ভয়াবহ পরিস্থিতি। এমনকী পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে ট্রেনের কামরা থেকে ছিটকে খালে গিয়ে পড়েছেন একাধিক যাত্রী। যন্ত্💙রণায় কাতরাচ্ছেন। কার্যত চোখের সামনে একের পর এক মৃত্যু দেখেছেন যাত্রী। যে সহযাত্রীকে কিছুক্ষণ আগেও দেখেছিলেন গল্প করছিলেন, তারই চাদরমোড়া নিথর দেহ সামনে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। শিউরে উঠছেন বেঁচে ওঠা যাত্রীরা।
কাঁপা কাঁপা গলায় বাড়িতে ফোন, বেঁচে আছি। চিন্তা করো না। কেউ আবার স্টেশনে ব🍸সে রীতিমতো কাঁপছেন। স্থানীয় বাসিন্দার হাত ধরে বলছেন, একটু বলে দেবেন বাড়িতে, বেঁচে আছি আমি। বেঁচে থাকার যে এত আনন্দ তা বোধ হয় আগে বোঝেননি তাঁরা।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছিলেন গোবিন্দ মণ্ডল নামে এক যাত্রী। তিনি নিউজ ১৮ বাংলাকে ফোনে জানিয়েছেন, আমি সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো মরেই যাব। একটা ভাঙা জানলা দিয়ে কোনওরকমে বেরিয়ে এসেছি। প্রথমে একটি ডিসপেন্সরিতে প্রাথমিক চিকিৎসকার জন🐷্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে এখন বিপদ থেকে বড় বাঁচা বেঁচে👍 গিয়েছি।
তিনি বꦉলেন,𒈔 দেখলাম অনেকের মাথা ফেটে গিয়েছে। অনেকের পায়ে হাতে লেগেছে। চোখের সামনে দেখলাম একের পর এক মানুষকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।
এবিপি আনন্দকে এক যাত্রী জানিয়েছ🎉েন, দুর্ঘটনার আগেও বুঝতে পারল🦩াম না এত বড় কিছু হতে পারে। কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে এটাও বুঝতে পারলাম না। তাহলে তো প্রচন্ড ঝাঁকুনি হত। কিন্তু এটা বুঝতে পারলাম ট্রেনটি লাইন থেকে নেমে গিয়েছে।
অপর এক যাত্রী টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, চোখের সামജনে দেখছি চাদরে মুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেহ। একটু বাড়িতে বলে দেবেন, আমি বেঁচে আছি। চিন্💝তা করো না।