ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) ওমিক্রন কেসের বৃদ্ধির মাঝেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলল। আইএমএ-র শতর্কবাণী, যদি শতর্কতা অবলম্বন না করা হয় তাহলে করোনভাইরাস রোগের তৃতীয় ঢেউ দেশে আঘাত করবে। করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রনে এখনও পর্যন্ত সারা দেশে ২৩ জনকে সংক্রমিত হয়েছে।বৈজ্ঞানিক প্রমাণে দেখা গিয়েছে যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট উচ্চ সংক্রামক। আরও বেশি লোক এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হতে পারে বলে আশঙ্কা। এই বিষয়ে সোমবার আইএমএ বলে, ‘ভারত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছিল, এমন সময়ে ওমিক্রন একটি বড় ধাক্কা। আমরা যদি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিই, তাহলে আমাদের দেশে একটি বিশাল তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।’আইএমএ বুস্টার ডোজের দাবি তুলে আরও বলে, ‘আইএমএ সরকারের কাছে আবেদন করতে চায় যে তারা যাতে সাধারণ মানুষের ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যসেবা, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং ইমিউনোকম্প্রোমাইজড ব্যক্তিদের অতিরিক্ত ডোজ (টিকা) দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।’উল্লেখ্য, সব মিলিয়ে ভারতে এখনও পর্যন্ত ২৩জন ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। মহারাষ্ট্রে মোট নয়জন ওমিক্রন আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সাতজনই পুনের বাসিন্দা। এদিকে রাজস্থানেও কোভিডের বিশেষ ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে। রাজস্থান স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছেন ৯জন ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চারজনই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সদ্য ফিরেছেন। তবে গত সপ্তাহে দিল্লিতে একজনের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছিল। তবে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কর্ণাটকে।