তামিলনাড়ুতে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৯🃏। তাঁদের মধ্যে ২৬৪ জনই দౠিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলিঘি জামাতের জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন। এই একটা পরিসংখ্য়ানই শিউরে ওঠার জন্য যথেষ্ট।
আরও পড়ুন : Coronavirus Up🐼date: নিজামুদ্দিন জমা⛎য়েতের কর্তাদের সতর্ক করা হয়েছিল, ভিডিয়ো প্রকাশ দিল্লি পুলিশের
সচেতনতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে যেভাবে তাবলিঘির জমায়েত হয়েছিল, তার মাসুল কীভাবে গুনতে হচ্ছে দেশকে - সেই ছবিটা যতদিন যাচ্ছে তত বেশি করে পরিষ্কার হচ্ছে। গত তিনদিনে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে 🌟বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। কোনও রাখঢাক না ✱করে কেন্দ্রও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দেশে করোনা আক্রান্তের বৃদ্ধির অন্যতম কারণ তাবলিঘি। যে সংগঠনের জমায়েতে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ২,০০০ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন :Coronavirus Update: রাজি ছিলেন না মৌলানা, রাত ২꧟টোয় নিজামুদ্দিনে আসরে 💙ডোভাল
তবে এই সংখ্যক লোকের জমায়েত তাবলিঘির জমায়েতে হওয়াটাই দস্তুর। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ইসলাম সংগঠন (সুন্নি) হিসেবে পরিচিত তাবলিঘি। ১৯২৭ সালে হরিয়ানায় মেওয়াটে তাবলিঘির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মৌলানা মহম্মদ ইলিয়াস। ইসলাম ধর্মের যেসব মিশনা𒀰রি আন্দোলন সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল তার মধ্যে অন্যতম তাবলিঘি। কিন্তু সেই প্রভাবশালী সংগঠনের জমায়েতের জেরে নিজামুদ্দিন এখন ভারতে করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন : Coronavirus Update: নিজামুদ্দিন-জামাত 🐠যোগে একরাতে করোনা আক্রಌান্ত বাড়ল ২৪০
কী হয়েছিল ঠিক?
গত ১-১৫ মার্চ দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলিঘির জমায়েত হয়েছিল। জমায়েত শেষে অনেকে নিজের গ🌼ন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ট্রেন, বাস-সহ বিভিন্ন গণপরিবহনে যাত্রা করেছিলেন। সদস্যরা আরও একাধিক জায়গায় যান। আরও লোকজনের সংস্পর্শে আসেন। ফলে জমায়েত থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংক্রমণ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পাশাপাশি, সংগঠনের সদর দফতর মার্কাজেও অনেকে ছিলেন। সংখ্যাটা কম করেও ২,০০০। যা জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁদের মার্কাজ থেকে বের করতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল। আসরে নামতে হয়েছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকেও। তারপর মার্কাজের ভিতর থেকে তবলিঘি সদস্যদের বের করে আনা সম্ভব হলেও অনেকেই অসহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালে ভরতি হতে চাইছেন না বলে দাবি করেছেন দিল্লির একটি হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
আরও পড়ুন : নিজামুদ্দিন ফেরতদের খুঁজতে গিয়ে মধুবনিতে পাথরবৃষ্টির শি💜কারꦺ পুলিশ, ধৃত ৩
এইসবের মধ্যে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশজুড়ে কমপক্ষে ৮,৭০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁরা তাবলিঘির সদস্য বা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ক✅মপক্ষে ৩১১ জন করোনায় আক্রান্ত। অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধরাত রাতে তেলাঙ্গানায় আরও তিন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকেই নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন। দিল্লিতেও বৃহস্পতিবার নিজামুদ্দিন যোগ থাকা দু'জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্🐼ত্রকের যুগ্মসচিব সলিলা শ্রীবাস্তব জানান, ২৫০ বিদেশি-সহ দিল্লিতে প্রায় ২,০০০ তাবলিঘি কর্মী ছিলেন। ১,৮০৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। উপসর্গ থাকা ৩০২ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যু🎶গ্মসচিব লব আগরওয়াল জানান, তাবলিঘি সদস্য ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা ৯,০০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১,৩০৬ জন বিদেশি। সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, 'এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ থাকা ৪০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন : Co🍎ronavirus Update: একদিনে ৩৮৬ করোনা আ๊ক্রান্ত বাড়ার অন্যতম কারণ তাবলিঘি জামাত, মন্তব্য কেন্দ্রের
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে দক্ষিণে পুদুচেরি পর্যন্ত নিজামুদ্দিন যোগে করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সবথেকে বেশি প্রভ♕াব পড়েছে তামিলনাড়ুতে। সেখানে ১৭৩ জন তাব♕লিঘি সদস্য করোনায় আক্রান্ত। যদিও পরে দক্ষিণের রাজ্যটির স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, সে রাজ্যে ২৬৪ জন করোনা আক্রান্ত তাবলিঘি সদস্য। অর্থাৎ তাবলিঘি যোগ ছাড়া করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫। এছাড়াও দিল্লিতে ৪৭, অন্ধ্রপ্রদেশে ৬৭, তেলাঙ্গানায় ৩৩, রাজস্থানে ১১, আন্দামান নিকোবরে ৯, অসমে ২২, জম্মু ও কাশ্মীরে ২২ ও পুদুচেরি দু'জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : Coronavirus Update: সরকারকে সাহায্য করব, গোপন আস্তানায় লুকিয়ে বার্তা তাবলিঘি জামাত প্রধান✤ের
তবে এখানেই আক্রান্তের সংখ্যা থামবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের আশঙ্কা, নিজামুদ্দিন যোগে করোনা আক্রান্ত আরও বাড়বে। একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, 'আরও পꦰরীক্ষা করা হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।'