মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে নির্বাচন জিতেও ক্ষমতায় বসা হয়নি। কোনও ক্রমে সরকার গঠন হয়েছে হরিয়ানায়। এই অবস্থাতে কিছুটা হলেও চাপের মধ্যে ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কর্নাটকে উপনির্বাচনে কমপক্ষে ছটি আসন না পেলে বিপদে পড়ে যেত ইয়েদুরাপ্পা সরকার। সেই পরীক্ষায় কিন্তু পাশ গেরুয়া বাহিনী। ১৫টির মধ্যে ১২টি আসন জিতল বিজেপি। দুটি আসনে জয় কংগ্রেসের। একটি আসনে জিতলেন বিজেপির বিদ্রোহী প্রার্থী, যিনি নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন।ঋাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এদিন কর্নাটক ফলাফলের প্রসঙ্গ তোলেন মোদী। তিনি বলেন যে জোট সরকার নয়, মজবুত-স্থিতিশীল সরকারের জন্য রায় দিয়েছে কর্নাটক। এই জন্য রাজ্যের মানুষকে অভিনন্দনও দেন তিনি। কর্নাটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও বৃহত্তম দল ছিল বিজেপি। কিন্তু বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দুরে রাখার জন্য সরকার গড়ে জেডিএস ও কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন কুমারস্বামী।কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়করা ইস্তফা দেওয়ার ফলে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সব বিধায়কদের দল বদলের কারণে পতন হয়েছিল কুমারাস্বামী সরকারের। উপনির্বাচন শুধু মর্যাদারই নয়, অস্তিত্বেরও লড়াইও ছিল। শেষ বিচারে নিজের চেয়ারে টিকে থাকতে সক্ষম হলেন ইয়েদুরাপ্পা। এর আগে এই পনেরো আসনের মধ্যে এগারোটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। তিনটি জিতেছিল জেডিএস। একটা আসনও দখলে রাখতে পারল না দেবগৌড়ার দল। এই রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে হার মেনে নিয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। তবে এই হারে হতাশ হওয়ার কারণ নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন। ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেসের কর্নাটক প্রধান। শুধু জয় নয়, ভোক্কালিগা বেল্টেও একটি আসনে জিতেছে বিজেপি, যেখানে অতীতে কখনো কমল ফোটেনি। কর্নাটকে মূলত লিঙ্গায়েতদের দল হিসাবেই পরিচিত বিজেপি। সেখানে ভোক্কালিগা বেল্টে আসন জেতা নিশ্চিত ভাবেই তাত্পর্যপূর্ণ। মহারাষ্ট্রেও সবচেয়ে বড় দল বিজেপি। কিন্তু তাদের ঠেকানোর জন্য কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা একসঙ্গে সরকার গড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের মন্তব্য মহারাষ্ট্রকেও মাথায় রেখে বলা হয়েছে, বলে মনে করা হচ্ছে।বর্তমানে ২০৮ আসনের মধ্যে ১০৫ বিধায়ক আছে বিজেপির। আজকের ১৫ আসনের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর ২২৫টি আসনের মধ্যে ২২৩টি তে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এসে যাবেন। খালি থাকবে কেবল দুটি আসন।