কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে? সেব্য়াপারে রাজ্য সরকারকে অডিট করার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। পাশাাপাশি প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারেও খতিয়ে দেখতে বলেছে আদালত।অতিমারি পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি সংক্রান্ত একটি পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের চিফ জাস্টিস আরএস চৌহান ও জাস্টিস অলোক ভার্মা বুধবার রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, এমন কোনও জেলা ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স করা যায় কি না যেটা সোশ্য়াল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করবে। পাশাপাশি পরিচয়পত্র না থাকার জন্য যাঁরা ভ্যাকসিনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাদেরকেও সহায়তা করবে। পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আশাকর্মী, হোম গার্ড, নার্সদের নিয়ে প্যানেল তৈরি করে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করা যায় কি না সেটাও খতিয়ে দেখতে বলেছে আদালত। অন্যদিকে মৃত্যুর তালিকার পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর, আইসিইউর যন্ত্রপাতিরও হিসাব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর মাধ্যমে কতগুলি যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে সেগুলিও জানা যাবে, এমনটাই মত আদালতের। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসারে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলি কোভিড চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত বিল করছে। এব্যাপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলেও জানিয়েছে আদালত। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, এনজিও যে সহায়তা করতে চাইছে সেব্যাপারে যাতে কোনও প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি না হয় সেকারণে একটি পোর্টাল করার ব্যাপারেও সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।