স্কুলের ভඣিতর কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণে কোনও শিক্ষক তাঁর ছাত্রকে যদি বকুনি বা শাস্তি দেন কোনও নিয়মানুবর্তিত♚া শেখাতে, তাহলে তা কোনও মতেই অপরাধ নয়। গোয়ায় অবস্থিত বম্বে হাইকোর্ট একথা সদ্য তার এক নির্দেশে জানিয়েছে।
কোর্টে চলছিল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২ পড়ুয়াকে লাঠি দিয়ে মারার অভিযোগে মামলা। সেই অভিযোগের জেরে, ওই শিক্ষকের এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় আগে। সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানারও ঘোষণা করা হয়। সেই নির্দেশকে নস্যাৎ করে গোয়ার বম্বে হাইকোর্ট নতুন করে এই মামলায় বার্তা দেয়। বিচারপতি ভারত দেশপান্ডের নেতৃত্বাধীন সিঙ্গল বেঞ্চে বলা হয়,'এই ঘটনা খুবই স্বাভাবিক কোনও প্রাইমারি স্কুলে। পড়ুয়াদের নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে, ভালো অভ্যাস শেখাতে শ🍸িক্ষককে সেই অনুযায়ী এগিয়ে চলতে হয়। কখনও তাঁকে কড়া হতে হয়।' হাইকোর্ট তার পর্যপেক্ষণে জানিয়েছে, ‘স্কুলে ছাত্ররা ভর্তি হয় শুধু শিক্ষা পেতে নয়, সঙ্গে জীবনের বিভিন্ন দিকের শিক্ষা দরকার যার মধ্যে নিয়মানুবর্তিতাও একটি। ’ কোর্টের পর্যবেক্ষণ বলছে, স্কুলে শুধু কয়েকটি বিষয়ই শেখানো হয় না, জীবনের বিভিন্ন দিকের শিক্ষা দেওয়া হয়, যাতে ছাত্রটি ভবিষ্যতে ভালো স্বভাবের অধিকারী হয়।
যে ঘটনা ঘিরে এই গোটা পর্বের সূত্রপাত, তা ২০১৪ সালের। সেই সময় প্রাইম🗹ারি এক স্কুলে এক ছাত্রীর জল খাওয়া নিয়ে শুরু হয় সমস্যা। ছাত্রীর নিজের বোতলের জল শেষ হয়ে যায়। তখন সে অন্যের বোতল থেকে জল খায়। এদিকে, ওই ছাত্রীর দিদি অন্য ক্লাস থেকে বোনের অবস্থা জানতে আসে ওই ক্লাসে। তখন তার দিদি ও বোনকে মারধর কার অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যাদের মারধর করা হয়েছিল, তাদের একজনের বয়স ৫, একজনের ৮। এদিকে, সেই দিন ওই ছাত্রীদের লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে কিনা তার সপক্ষে প্রামাণ্য নথি না থাকায় কোর্ট জানায় যে꧟, ‘লাঠির ব্যবহার হয়েছে কি না সেই দিনে তা নিয়ে সত্যিকারের সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।’ কোর্ট এই পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করে যে, শিক্ষকরা সকলেই সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব, ফলে তাঁদের প্রতি সম্মান থাকা প্রয়োজন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.𝔉🗹me/277p/p7me4aup