র🐻েল,সড়ক,আকাশপথে𝐆 ভিনরাজ্য থেকে অনেক মানুুষ ফিরেছেন। তার জেরে মাত্র ছ'দিনে দ্বিগুণ হল অসমে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। আনলক-১ পরিস্থিতিতে যা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের।
গত ৩১ মার্চ অসমে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছি🌃ল। প্রায় দু'মাস পর গত ২৯ মে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,০০০ ছাড়িয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী এক সপ্তাহে সংক্রামিত🧸ের সংখ্যা ২,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,০৭৪। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। সেরে উঠেছেন ৪৪৩ জন। তবে বুধবার একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের (২৭৩) পর বৃহস্পতিবার সংক্রামিতের সংখ্যা (২৪৩) কিছুটা কমেছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভিনরাজ্য থেকে থেকে♈ মানুষ অসমে আসার পরই আক্রান্ꩵতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৪ মে আন্তঃরাজ্য চলাচলের উপর থেকে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর অসমে প্রায় ২.৫ লাখ মানুষ ফিরেছেন। তারমধ্যে চালু হয়েছে ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেন, বিশেষ এসি ও নন-এসি ট্রেন এবং ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা। সবমিলিয়ে ভিনরাজ্য ফেরত প্রায় ১,৮০০ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। যা রাজ্যে অসমে মোট আক্রান্তের প্রায় ৮৬ শতাংশ।
এদিকে, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যের সাতটি অনুমোদিত সরকারি ল্যাবে ১৩৩,০২৯ টি নমুনওা পরীক্ষা করা হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন, অসম দৈনিক ১০,০০০ নমুনা পরীক্ষায় সক্ষম এবং আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা দু'লাখে ঠেকবে।
পাশাপাশি, এখন ভিনর🌱াজ্য ফেরত সকলের লালারসের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা ܫপর্যন্ত তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তিন-চারদিন পর রিপোর্ট এলে যদি দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহিলা করোনা নেগেটিভ তাহলে তাঁকে বাড়ি যেতে দেওয়া হয়। সেখানেও ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন সময়সীমা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে অসম সরকার।