দিনকয়েক ধরেই জল্পনা চলছিল, আজই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবারও সেই🦄 জল্পনা অব্যাহত ছিল। তা অবশ্য হল না। তবে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানানো হল, মঙ্গলবার ൲অর্থাৎ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন সকাল ১০ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন : লকডাউনে পড়ু🥀য়াদের ক্ষতি রুখতে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনার পরিকল্পনা কেন্দ্রের
গত সপ্﷽তাহে সর্বদলীয় বৈঠকে লকডাউন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোদী। শনিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। সেদিনই মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। এরইমধ্যে বৈঠকের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, মোদীর লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঠিক। একই সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, লকডাউন বাড়তে চলেছে। তারপর মোদীর জাতির উদ্দেশে জল্পনা আরও বাড়ে। কিন্তু সেই জল্পনায় ইতি টানেন এক সরকারি আধি🎐কারিক। শেষপর্যন্ত জানানো হয়, মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদী।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: করোনার প্রভাব দেশের অর্ধে🐓কের বেশি জেলায়, মৃত্যু ছাড়াল ৩০০
কী বিষয়ে মোদী কথা বলবেন, তা অবশ্য খোলসা করা হয়নি। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, মঙ্গলবার লকডাউনের শেষদিন। ফলে লকডাউনের ভবিষ্যৎ জা𓂃নাতে চলেছেন মোদী। সেখানেই তিনি জানাবেন, অধিকাংশ রাজ্যই দু'সপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে যে সওয়াল করেছে, তা পুরোপুরি মেনে নেবেন নাকি অন্য কিছু পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন :দেশবাসীর নস্ট্যালজ﷽িয়া উস্কে নতুন চ্যানেল DD রেট্রো লঞ্চ করল প্রসা൲র ভারতী
তবে অধিকাংশের মতে, রাজ্যগুলির আর্জি মেনে দু'সপ্তাহ ꧃লকডাউন বাড়ানো হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। সেজন্য দেশের জেলাগুলিকে তিনটি জোনে ভাগ করা হবে। দেশের যে ১০০ টি জেলায় করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি, সেগুলি লাল জোনে থাকবে। যেখানে অল্পবিস্তর করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিকে কমলা জোনে রাখা হবে। সেখানে সীমিত অর্থনৈཧতিক কার্যকলাপ চলবে। আর যে ১৬১ টি জেলায় করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি, সেগুলিকে সবুজ জোনে রাখার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র। সেখানে ধাপে ধাপে লকডাউন প্রত্যাহার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন : কৃষিজীবীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ₹১৫,৮৪১ কোটি জমা কেন্দ্রের, জানুন জরুরি তথ্য
পাশাপাশি, বিভিন্ন শিল্পও শুরু করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। বস্ত্র, অটোমোবাইল, বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি উৎপাদন শিল্পে প্রাথমিকভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। তবে ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিক দি💎য়ে কাজ চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাণিজ্য মন্ত্রক কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় শিল্পের কাজ শুরু করতে। কোন কোন প্রস্তাবে অবশ্য সিলমো🍷হর পড়বে ও কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তার চূড়ান্ত ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ তিনি তো বরাবরই সারপ্রাইজ দিতে ভালোবাসেন!