বাকি মাত্র আর দু'দিন। তারপরই বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাসের টিকা নথিভুক্ত করতে চলেছে রাশিয়া। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে সেই তথ্য জানানো হয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত🧸্রক যৌথভাবে সেই প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছে। যা আগামী ১২ অগস্ট নথিভুক্ত করা হবে।
রাশিয়ার উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলেগ গ্রিনদেব বলেন, ‘গামালেয়া সেন্টার করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করেছে, তা ১২ অগস্ট নথিভুক্ত করা হবে। এই মুহূর্তে অন্তিম অর্থাৎ তৃতীয় পর্যায়ের (ট্রায়াল) চলছে। ট্রায়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদ✤ের বুঝতে হবে যে প্রতিষেধক অবশ্যই সুরক্ষিত হবে। স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রবীণ নাগরিকদের সর্বপ্রথম টিকা দেওয়া হবে।’ নথিভুক্ত করার পর সুরক্ষা এবং ক🌟ার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রায় ১,৬০০ জনের দেহে সেই টিকা প্রয়োগ করা হবে বলে খবর।
গত এপ্রিলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রশাসনিক আধিকারিকদের করোনার সম্ভাব্য টিকা-সহ বিভিন্ন ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়া༺ল প্রক্রিয়ার সময় কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, গত ১৭ জুন মানবদেহে করোনার সম্ভাব্য টিকা প্রয়োগ করা শুরু হয়েছিল। সেই দফায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবক। তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের দেহে তরল টিকা দেওয়া হয়েছিল। বাকিদের দেওয়া হয়েছিল দ্রবণীয় গুঁড়ো হিসেবে।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সকলের দেহেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছিল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সরক🧸ারকে উদ্ধৃত করে স্পুটনিক বলেছিল, ‘টিকাকরণের মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে প্রতিরোধকারী প্রতিক্রিয়া মিলেছে বলে ফলাফলে স্পষ্টতই বোঝা গিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের দেহে কোনও সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।’ রাশিয়ার অপর এক সংবাদসংস্থা তাসে একটি সাক্ষাৎকারে শিল্পমন্ত্রী ডেনিস ম্যানতুরভ বলেন, ‘(আগামী) সেপ্টেম্বরে বৃহদাকারে উৎপাদন শুরু করার জন্য দিন গুনছি।’