ইতিমধ্যে 'কোভ্যাক্সিন'-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। কিন্তু গত অগস্টে প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে বিরূপ ঘটনা ঘটেছিল। সম্ভাব্য টিকা প্রদানের পর এক রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল। যা ভারত বায়োটেক বা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এবং ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) তরফে জনসমক্ষে কিছু জানানো⛄ হয়নি।
একটি বিবৃতিতে ভারত বায়োটেকের তরফে বলা হয়েছে, 'চলতি বছরের অগস্টে প্রথম পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়ালের সময় একটি বিরূপ ঘটনা হয়েছিল। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্💙টার মধ্যেই তা সিডিএসসিও-ডিসিজিআইকে জানানো হয়েছিল। একেবারে বিস্তারিতভাবে সেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখা হয়েছিল এবং তা টিকা সংক্রান্ত ছিল না বলে উঠে এসেছে।'
বিরূপ প্রতিক্রিয়ার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রোজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্রায়াল সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু ভারত বায়োটেকের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সঙ্গে যৌথভাবে সেই সম্ভাব্য টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া এবং ইকোনমিকস টাইমসের প্রতিবেদনের পর কোভ্যাক্সিন'-এর বিরূপ ঘটনাটি😼র বিষয়টি সামনে এসেছে।
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিম ভারতের একটি জায়গায় প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের সময় ৩৫ বছরের এক স্বেচ্ছাসেবকের ক্ষেত্রে সেই বিরূপ ঘটনা ধরা পড়েছিল। তাঁর কো-মর্বিডিটি ছিল না। টিকা প্রꦍদানের দু'দিন পরেই ভাইরাস নিউমোনিয়া-সহ তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সপ্তাহখানকে পর অবশ্য হাসপাতাল থﷺেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ভারত বায়োটেকের তরফে বলা হয়েছে, 'ওই ব্যক্তির চিকিৎসার যাবতীয় খরচ করেছে স্পনসর এবং তিনি সুরক্ষিত আছেন।'
ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্💞রোল অর্গানাইজেশনের এথিক🧸স কমিটির নির্দেশ মতো পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট-সহ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যাবতীয় নথি জমা দেওয়া হয়েছিল। বিস্তারিত তদন্তের পরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমোদন মিলেছে বলে ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে। সেইমতো গত সপ্তাহে হায়দরাবাদের নিজাম ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সসে 'কোভ্যাক্সিন'-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। যা ভারতের সবথেকে বড় ট্রায়াল।
তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রোটোকল এবং চূড🙈়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে বিরূপ ঘটনা নিয়ে 'মিন্ট-এর তরফে ভারত বায়োটেক এবং ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার প্রধান ভি জি সোমানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।🐼 তবে এখনও সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ১৫ অগস্টের মধ্যে 'কোভ্যাক্সিন' চালুর লক্ষ্যে দ্রুত ট্রায়ালের জন্য কয়েকটি হাসপাতালে চিঠি পাঠিয়েছিল আইসিএমআর। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।༒ বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই টিকা ঘোষণা করবেন বলে এই দ্রুততা দেখানো হচ্ছে। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে কেন্দ্রীয স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছিল, ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় গতি আনতেই ১৫ অগস্টের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল।