একবার করোনাভাইরাস টিকা প্রদান করলে দেহে ভালোমতো অ্যান্টিবডি তৈরওি হবে। তা কয়েক মাস সুরক্ষা দেবে। এমনটাই জানালেন এইমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘একটা বুস্টার দেওয়া হলে ভালোমতো অ্যান্টিবডি তৈরি করবে টিকা এবং তা সুরক্ষাকবচ দেবে। যখন (আক্রান্তের) সংখ্যা কম থাকবে, তখন উল্লেখজনক মাস ধরে থেকে তা 💖সুরক্ষা প্রদান করবে। আমাদের দেখতে হবে যে কী ধরনের অনাক্রম্যতা গড💜়ে ওঠে।’
তাঁর আশা, চলতি মাসের শেষ বা নয়া বছরের 💟গোড়ার দিকে জরুরি ভিত্তিতে ভারতে করোনা টিকার ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘ভারতে এমন টিকা আছে, যেগুলি চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। আশা করꦡছি যে চলতি মাসের শেষ বা আগামী মাসের প্রথমের মধ্যে জনগণকে টিকা প্রদানের জন্য ভারতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে।’
তবে প্রাথমিকভাবে দেশের প্রত্যেক মানুষকে টিকা প্রদানেౠর জন্য যে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডোজ থাকবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন এইমস কর্তা। সেজন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করতে হবে, সেটির মাধ্যমে যাঁদের কোভিডে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি, তাঁদের টিকা প্রদান করতে হবে। প্রবীণ, কো-মর্বিডিটি থাকা মানুষ এবং প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের প্রথমে টিকা প্রদান করতে হবে।’
প্রাথমিকভাবে সবাই টিকা না পেলেই যে করোনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে, তা নয়। বরং উপযুক্ত করোনা বিধি মেনে চললে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। এইমসের অধিকর্তা জানান, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নিম্নমুখী ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে। উপযুক্তভাবে করোনাভাইরাস বিধি মেনে চলল🔯ে সেই নিম্নমুখী ধারা বজায় থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন এইমসের অধিকর্তা। তিনি বলেন, ‘আগামী তিন মাসে আমরা যদি এই আচরণ (কোভিড বিধি) নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলে মহামারী সংক্রান্ত বড়সড় পরিবর্তনের মুখে দাঁড়িয়ে থাকব।’