আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল। তা আরও কিছুটা জোরালো হল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানালেন, ফাইজারের করোনাভা💙ইরাস টিকার সম্ভবত প্রয়োজন হবে না ভারতের। কারণ ভারতে যে সব ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর ট্রায়াল চলছে, সেগুলিতে যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক ফল মিলছে।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে মার্কিন সংস্থা ফাইজার এবং জার্মান 𝔍সংস্থা বায়োএনটেকের সম্ভাব্য করোনা টিকা কেনার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করারও যুক্তি নেই। সেই সম্ভাব্য টিকা এখনও অনুমোদন পায়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র পেলেও তা আগে নিজেদের দেশের মানুষকে টিকার জোগান দেবে। তারপর বিদেশে পাঠাবে।
গত সপ্তাহেই নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) তথা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল জানিয়েছিলেন, ভারতীয়দের জন্য যে সংখ্যক ডোজ প্রয়োজন, তা ফাইজারের তরফে মিলবে না। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুুমোদন পেলে ফাইজারের টিকা কেনা এবং বণ্টনের বিষয়ে♕ও কৌশল তৈরি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিন꧟ি।
তবে সেখানেই সমস্যার শেষ হচ্ছে না, নীতি আয়োগের সদস্য বলেছিলেন, ‘মাইনাস ৭০ ডিগ্রি🍌 সেলসিয়াসে ফাইজারের টিকা মজুতের জন্য যে সংখ্যক হিমঘরের প্রয়োজন আছে, তার বন্দোবস্ত করা বড়সড় চ্যালেঞ্জের এবং কোনও দেশের ক্ষেত্রেই তা সহজ হবে না। তবে (টিকা) যদি কিনতে হয়, তাহলে আমাদের কী করতে হবে, তা খতিয়ে দেখছি এবং আমরা একটি কৌশল তৈরি করব।’
ভারতে কমপক্ষে পাঁচটি সম্ভাব্য টিকার ট্রায়াল চলছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার যৌথ ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল প্রায় শেষ হতে চলেছে। দ্বিতীয়/তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ‘ভ্য❀াকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর গড়ে ৭০ শতাংশেরও বেশি কার্যকারিতার প্রমাণ ম༺িলেছে। একটি ক্ষেত্রে তা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারী হয়েছে। একইসঙ্গে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) সিইও আদর পুনাওয়ালা জানালেন, আগামী ডিসেম্বর বা নয়া বছরের জানুয়ারির মধ্যে সীমিতভাবে ভারতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা টিকা ব্যবহার করা হতে পারে। দামও কম হবে।
এছাড়াও ‘কোভ্যাক্সিন’-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এন📖আইভি) সঙ্গে যৌথভাবে সেই সম্ভাব্য টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। দেশীয় সংস্থার তৈরি সম্ভাব্য করোনা টিকা 'জাইকোভ-ডি'-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ভারতে রাশিয়ার করোনা টিকার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করবে ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি। সেগুলি ছাড়াও করোনাভাইরাসের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর প্রাথমিক প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করেছে 𓄧বায়োলজিকাল ই লিমিটেড।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা, বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। করোনা টিকা ধাপে ধাপে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়𝓀েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রথম দফার আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে ২৫-৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সেজ꧅ন্য ৫০ কোটি করোনা টিকা কেনা হবে। কারণ অধিকাংশ টিকার ক্ষেত্রে দু'টি ডোজ দিতে হয়।