দেশে কবে করোনাভাইরাসের টিকা আসবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে টিকার প্রস্তুতিতে কোনওরকম ফাঁক রাখতে চাইছে না কেন্দ্র। সেজন্য রাজ্যগুলিকে 'কোল্ড স্টোরেজ' প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিলেন প্রধ꧒ানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনার জ⛎ন্য আট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মোদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) তথা কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল-সহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা। মূলত🍷 করোনার দ্বিতীয় স্রোত (সেকেন্ড ওয়েভ) রোখা এবং করোনার টিকা বণ্টনের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, হরিয়ানা, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং কেরালার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন মোদী।
বৈঠকের শেষ লগ্নে মোদী আশ্বাস দেন, ভারতে যে টিকা পাওয়া যাবে, তা যাবতীয় ꦓবৈজ্ঞানিক মাপকাঠির ভিত্তিতে সুরক্ষিত হবে। সেজন্য বিভিন্ন টিকার অগ্রগতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্র। ভারতের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা, বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মোদীর কথায়, ‘দ্রুততার মতো সুরক্ষাও আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত নিজের নাগরিকদের যে টিকা দেবে, তা যাবতীয় বৈজ্ঞানিক মাপকাঠির ভিত্তিতে সুরক্ষিত♎ হবে।’
তারইমধ্যে টিকার জন্য উপযুক্ত সংখ্যক 'কোল্ড স্টোরেজ' তৈরি রাখার কাজও শুরু করতে বলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘আমাদের কতগুলি অতিরিক্ত কোল্ড স্টোরেজের প্রয়োজন আছে, তা নিয়ে এখন থেকেই পুরো উদ্যম নিয়ে💞 কাজ করা উচিত। কোথায় কোথায় সম্ভব হবে, সেগুলির মাপকাঠি কী হবে, (তা নিয়ে আমাদের কাজ𝓀 শুরু করতে হবে)। (কেন্দ্রের বিভিন্ন) বিভাগ থেকে তো ইতিমধ্যে তা (রাজ্যগুলিকে) পাঠানো হবে। কিন্তু এখন আমাদের সেগুলি প্রণয়ন করতে হবে। তৈরি থাকতে হবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত জোগানও নিশ্চিত করা হবে। শীঘ্রই রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হবে। আমাদের কেন্দ্র ও রাজ্যের লাগাতার একসঙ্গে কাজ করছে। আলোচনা চলছে।’