নয়া বছরের শুরুতেই মিলতে পারে সুখবর। আগামী কয়েকদিনের ভারতে অনুমোদন পেতে পারে 🍎অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস টিকা। এমনটাই জানালেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) সিইও আদর পুনাওয়ালা।
তিনি জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ব𝓡্রিটেনে জরুরি ভিত্তিতে অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য করোনা টিকাকে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। একইসঙ্গে ভারতেও মিলতে পারে ছাড়পত্র। অক্সফোর্ডের সঙ্গে যে ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ যৌথভাবে তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা। আর উৎপাদন করছে সেরাম। পুনাওয়ালা বলেন, ‘নয়া বছরে আমরা কিছু সুখবর পাব। সব তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অবশ্য সেই প্রক্রিয়াকে সম্মান জানাতে হবে, কারণ নিয়ন্ত্রকরা যাবতীয় তথ্য মূল্যায়ন করছে।' সঙ্গে পুনাওয়ালা যোগ করেন, ‘তারপর সেটা সরকারের উপর নির্ভর করবে যে (কত টিকা) নেওয়া হবে এবং ২০২১ সালের জুলাইয়ের কমপক্ষে ৩০ কোটি ডোজের যে লক্ষ্য আছে ✅ওদের, তা কখন নেবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
নাম গোপন রাখার শর্তে কেন্দ্রের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে ভারতে করোনা টিকা ব্যবহারের যে আবেদন জানিয়ে𓆉ছে সেরাম, তা খতিয়ে দেখার জন্য চলতি সপ্তাহেই আলোচনায় বসতে পারে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)। বিশেষজ꧒্ঞ কমিটি সেরামের আবেদনের বিস্তারিত বিষয় খুঁটিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন ওই সরকারি আধিকারিক।
এদিকে সেরাম কর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে সম্ভাব্য করোনা টিকার চার-পাঁচ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রতি সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়ছে। যে করোনা ডোজের অধিকাংশ পাবে ভারত। কারণ বিদেশে (কোভ্যাক্সের অন্তর্ভুক্ত মূলত আফ্রিকার দেশগুলি) টি𒀰কা পাঠানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু) ছাড়পত্রের প্রয়োজন আছে। যা সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। তাতে প্রায় এক মাস লাগতে পারে। তারইমধ্যে আগামী বছর মার্চের মধ্যে সেরামের তৃতীয় প্ল্যান্ট চালু হয়ে যাবে। তার ফলে প্রতি মাসে ১০ কোটি করোনা টিকা ডোজ তৈরি করতে পারবে সেরাম। এখন যে সংখ্যাটা পাঁচ থেকে ছ'কোটির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
তবে প্রাথমিকভাবে টিকার বণ্টন পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে না। প্রথম ছ'মাসে চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে বেশ কিছুটা ফারাক থাকবে বলে জানিয়েছেন সেরাম কর্তা। তিনি বলেন, ‘প্রথম ছ'মাসে এমন একটা পরিস্থিতি থাকবে যেখ💜ানে অবশ্যই বিশ্বজুড়ে (টিকার) জোগান কম থাকবে।🌳 কেউ কিছু করতে পারবে না। তবে আগামী অগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই বিষয়টি ধীরে ধীরে কমে যাবে। কারণ তখন অন্যান্য প্রস্ততকারীরাও টিকার জোগান দেবে।’