আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে সম্ভাব্য করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন চাওয়া হতে পারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের♒ সঙ্গে যৌথভাবে সেই 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট’ তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রোজ💯েনেকা। শনিবার একথা জানালেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) সিইও আদর পুনাওয়ালা।
সেরামের পুণে কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের কিছুক্ষণ পর ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে সেরাম কর্তা বলেন, ‘আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে টিকার অনুমোদন চাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং𓃲 দেখতে হবে যে কখন আমরা অনুমোদন পাচ্ছি।’
পুনাওয়ালা জানান, অনুমোদনের পর প্রাথমিকভাবে ভারতে সেই টিকা বণ্টন করা হবে। তারপর তা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে। তাঁর কথায়, ‘প্রাথমিকভাবে ভারতে টিকা বণ্টন করা হবে। তারপর আমরা কোভ্যাক্স দেশগুলির উপর নজর দেব। যেগুলি মূলত আফ্রিকাꩵয় অবস্থিত। ব্রিট♐েন এবং ইউরোপের বাজারের দেখভাল করছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা এবং অক্সফোর্ড। ওদের যদি উৎপাদন বাড়াতে হয়, তাহলে ওদের সমর্থন করার জন্য আমরা সর্বদা আছি।’
গত সোমবার ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল, ‘ব্রিটেন ও ব্রাজিলে এজেডডি১২২২-এর (AZD1222 তথা সম্ভাব্য টিকা) যে ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে, তার প্রাথমিক মূল্যায়নে উচ্চপর্যায়ের ইতিবাচক ফলাফল মিলেছে। তাতে কোভিড-১৯ রুখতে টিকার উচ্চপর্যায়ের কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।’ একইসঙ্গে ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শারীরিক অবস্থার🍨 গুরুতর অবনতি হয়নি এবং কাউকে হাসপাতালে ভরতি করার প্রয়োজন হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছিল।
গড়ে ৭০ শতাংশ হলেও একটি ডোজের ক্ষেত্রে কার্যকারিতার মাত্রা ৯০ শতাংশের মতো বলে জানিয়েছিল অ্যাস্ট্রোজেনেকা। বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, যখন সম্ভাব্য টিকার একটি ডোজের ধরণ (এন=২,৭৪১) দেওয়া হয়েছে, তখন ৯০ শতাংশ কার্🧸যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। সেক্ষেত্রে অর্ধেক ডোজ দেওয়া হয়েছিল। কমপক্ষে এক মাসের ব্যবধানে পুরো ডোজ দেওয়া হয়েছিল। আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে সম্ভাব্য করোনা টিকার ডোজের ধরণ (এন=৮,৮৯৫)। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ব্যবধানে পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়েছিল। অ্যাস্ট্রোজেনেকার তরফে জানানো হয়েছিল, ‘দুটি ডোজের মিলিত ফলাফলে গড়ে ৭০ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে।’
সেরাম কর্তা জানিয়েছেন, আপাতত প্রতি মাসে পাঁচ-ছ'কোটি ডোজ তৈরি হচ্ছে। আগামী বছর জানুয়ারির মধ্যে তা বাড়িয়ে ১০ কোটি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পুনাওয়ালা বলেন, ‘পুণে এবং আমাদের নয়া ক্যাম্পাস মন্দ্রিতে সবথেকে বড় মহামারী পর্যায়ের পরিকাঠামো তৈরি করেছি আমরা। সেই পরিকাঠামো ঘুরে দেখানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। বিস💜্তারিতভাবে বিভিন্ন আলো𒀰চনা করা হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় সরকারের টিকা নিয়ে চুক্তির প্রসঙ্গে পুনাওয়ালা জানান, এখনও কোনও চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। তিনি বলেন, ‘ওরা (কেন্দ্র) কত ডো𒐪জ কিনবে, তা 🦂নিয়ে এখনও লিখিতভাবে আমাদের কাছে কিছু নেই। তবে (কেন্দ্রীয়) স্বাস্থ্য মন্ত্রক যা ইঙ্গিত দিয়েছে, তাতে আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে ৩০-৪০ কোটি ডোজ লাগবে ওদের (কেন্দ্রের)।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অন্যান্য সম্ভাব্য টিকার মতো অত্যধিক ঠান্ডায় অক্সফোর্ডের 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট’ রাখতে হবে না। বরং সাধারণ ফ্রিজের ঠান্ডায় সেই সম্ভাব্য টিকা স্থানান্তর করা যাবে।