সকালেই সুখবর দিয়েছিল অ্যাস্ট্রোজেনেকা। কয়েক ঘণ্টা পরই সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) সিইও আদর পুনাওয়ালা জানালেন, আগামী ডিসেম্বর 🀅বা নয়া বছরের জানুয়ারির মধ্যে সীমিতভাবে ভারতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা টিকা ব্যবহার করা হতে পারে।
🐻একটি সংবাদমাধ্যমে পুনাওয়ালা জানান, আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে ৪০ কোটি ডোজের জোগান দিতে পাꦯরে সেরাম। তার আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতে করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেই ছাড়পত্র মিললেই ডিসেম্বর বা জানুয়ারির গোড়ার দিকেই ভারতে সীমিতভাবে করোনা টিকা ব্যবহার করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সেই সম্ভাব্য টিকা তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা। সেটির উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)। ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘ব্রিটেন ও ব্রাজিলে এজেডডি১২২২-এর (AZD1222 তথা সম্ভাব্য টিকা) যে ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে, তার প্রাথমিক মূল্যায়নে উচ্চপর্যায়ের ইতিবাচক ফলাফল মিলেছে। তাতে কোভিড-১৯ রুখত💃ে টিকার উচ্চপর্যায়ের কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।’ একইসঙ্গে ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়নি এবং কাউকে হাসপাতালে ভরতি করার প্রয়োজন হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে।
গড়ে ৭০ শতাংশ হলেও একটি ডোজের ক্ষেত্রে কার্যকারিতার মাত্রা ৯০ শতাংশের মতো বলে জানিয়েছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যখন সম্ভাব্য টিকার একটি ডোজের ধরণ (এন=২,৭৪১) দেওয়া হয়েছে, তখন ৯০ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। সেক্ষেত্রে অর্ধেক ডোজ দেওয়া হয়েছিল। কমপক্ষে এক মাসের ব্যবধানে পুরো ডোজ দেওয়া হয়েছিল। আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে সম্ভাব্য করোনা টিকার ডোজের ধরণ (এন=৮,৮৯৫)। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ব্যবধানে পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়েছিল। অ্যাস্ট্রোজেনেকার তরফে জানানো হয়েছে, ‘দুটি ডোজের মিলিত ফলাফলে গড়ে ৭০ শতাংশ কার্যকারিতার 🥂প্রমাণ মিলেছে।’
সেরাম প্রধান জানান, সারা বিশ্বে টিকার জোগান দেওয়ার আগে প্রথমে ভারতেই টিকা দেওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী তিনি। টিকা কেনার চুক্তি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনাও চলছে বলে জানিয়েছেন পুনাওয়ালা। বা꧂জারে যে টিকার দাম মোটামুটি ১,০০০ টাকার কাছাকাছি থাকবে। সেরাম প্রধান বলেন, ‘টিকা বণ্টনের ক্ষেত্রে একমꦆাত্র চ্যালেঞ্জ হল জনগণের গ্রহণযোগ্যতা।’