মল্লিকা সোনিচিনে কোভিড পরিস্থিতি ঠিক কেমন তা নিয়ে ওই দেশ থেকে বিশেষ কোনও তথ্য় সামনে আসছে না। তবে মাঝেমধ্য়ে কিছু ভিডিয়ো সামনে আসছে। তাতে ভয়াবহতাটা আঁচ করা যাচ্ছে। এদিকে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য় বিশেষজ্ঞদের মতে, গত সপ্তাহের তুলনায় মৃত্য়ুর সংখ্য়া প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। দৈনিক ৯০০০ মৃত্য়ুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য় বিষয়ক সংস্থা Airfinity একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে সব মিলিয়ে কোভিড সংক্রান্ত মৃত্যু সংখ্য়া ১০০,০০০জন। সব মিলিয়ে ১৮.৬ মিলিয়ন মানুষ সংক্রামিত হয়েছে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী বছরের প্রথম মাসে চিনে কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। হেলথ ফার্মের তরফে হিসাব করে বলা হয়েছে, চিনের কোভিড সংক্রমণ ১৩ জানুয়ারি একেবারে শীর্ষে পৌঁছবে। সেই সময় রোজ ৩.৭ মিলিয়নের আক্রান্ত হতে পারেন।সংস্থার মতে, ২৩ জানুয়ারি মৃত্যুর সংখ্যা শীর্ষে পৌঁছবে। সেই সময় মৃত্যু হতে পারে প্রায় ২৫,০০০ মানুষের। সব মিলিয়ে মৃত্যু ছুঁতে পারে ৫৮৪,০০০ জনের।এদিকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১০জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। তবে যত দিন যাচ্ছে ততই যেন কোভিড পরিস্থিতি বিগড়ে যাচ্ছে চিনে। ইতিমধ্য়েই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আদহানম ঘেবরেইয়েসেসুস কোভিড সম্পর্কিত তথ্য় আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে উপস্থাপিত করার ব্য়াপারে চিনকে অনুরোধ করেছিলেন।তবে চিনের তরফে জানানো হয়েছিল, যে তথ্য় প্রকাশ করা হচ্ছে তার পুরোপুরি স্বচ্ছ। এমনকী খোলামেলাভাবে ভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য় দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করা হয় চিনের তরফে।ন্যাশানাল হেলফ কমিশনের তরফ জিয়াও ইয়াহুই জানিয়েছেন, চিন কোভিডে মৃত্য়ু সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য় প্রকাশ করছে। স্বচ্ছতার সঙ্গেই এটা প্রকাশ করা হচ্ছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছিল কোভিড আক্রান্ত অবস্থায় শ্বাসকষ্টের সমস্যার জেরে যাদের মৃত্য়ু হচ্ছে তাদেরকেই কেবলমাত্র কোভিডে মৃত্যু বলে গণ্য করা হচ্ছে।তবে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা চিনের কোভিডের পরিস্থিতি সম্পর্কে যে ভয়াবহ আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন তা অনেকের বুকেই কাঁপন ধরানোর পক্ষে যথেষ্ট। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে একাধিক দেশও এনিয়ে চরম সতর্কতা অবলম্বন করছে।ভারতেও সম্প্রতি কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মক ড্রিল করা হয়েছে। সব দিক থেকে সতর্ক থাকা , সচেতন থাকার ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিকে বেডের পরিস্থিতি কেমন, অক্সিজেনের যোগান কতটা সেব্য়াপারেও হিসেব করা হয়েছে জেলায় জেলায়।