সরকারের ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী চারজনের বেশি অতিথিকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন না নেদারল্যান্ডসের মানুষ৷ কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটেছে অষ্টাদশী রাজকন্যার জন্মদিনে৷ নেদারল্যান্ডসের সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি ক্যাথেরিনা-আমালিয়া৷ গত ৭ ডিসেম্বর রাজপরিবারের এই জ্যেষ্ঠ কন্যা পা রেখেছেন ১৮-তে৷ আনুষ্ঠানিকভাবে পিতার সিংহাসনের দাবিদার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করায় রাজকন্যার জন্মদিন ঘটা করে পালন হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু বাধ সাধে করোনা৷ ক্রমশ সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশটিতে চলছে আংশিক লকডাউন৷ জারি আছে সান্ধ্য আইনও৷ তাই বলে কি অষ্টাদশী রাজকন্যার জন্মদিন পালন বন্ধ থাকে!ডাচ সংবাদপত্র ‘ডি টেলিগ্রাফের' এক খবরে বলা হয়েছিল, বেশ ঘটা করেই দিনটি উদযাপন করেছেন আমালিয়া৷ হেগ শহরে অবস্থিত রাজপ্রাসাদের বাগানে আয়োজিত সেই উৎসবে প্রায় ১০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি৷ এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনায় মুখে রাজপ্রাসাদ জানিয়েছে ১০০ জন নয়, উৎসবে অংশ নিয়েছেন মোটে ২১ জন৷ তাঁদের প্রত্যেকেরই কোভিড পরীক্ষা করানো হয়েছিল এবং সামাজিক দূরত্বও বজায় ছিল৷ এক চিঠিতে রাজা ভিলেম-আলেক্সান্ডারের বরাত দিয়ে দেশটির সংসদকে এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে৷ তারপরও যা ঘটেছে তাতে রাজা সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ রাজা তাঁকে জানিয়েছেন, এভাবে জন্মদিন পালনের ভাবনাটা মোটেও ভালো ছিল না৷ এ নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে তাও স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি৷ডাচ রাজপরিবার নিয়ে এবারই প্রথম বিতর্ক নয়৷ ২০২০ সালে করোনার প্রকোপের সময় সরকার যখন সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছিল গোটা রাজপরিবার তখন গ্রিস ভ্রমণে বেরিয়েছিল৷ যদিও সমালোচনার মুখে পরে ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেন তারা৷ (বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)