আগে রাজ্য কমিটি থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। এবার সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্যপদ থেকে বিদায় নিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। কেরলের কান্নুরের পার্টি কংগ্রেসে এটাই এখন সবচেয়ে বড় খবর। তবে যে নামটি আলোচনায় ছিল না সেই নামটি পলিটব্যুরোয় জায়গা পেয়েছে। হ্যাঁ, তিনি রামচন্দ্র ডোম। এই বীরভূমের নেতা দীর্ঘদিন সাংসদ ছিলেন। পরে তাঁকে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছিল। এবার তাঁকে নেওয়া হল পলিটব্যুরোতে।এদিকে বিমান বসু এখন আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে থাকবেন। তবে সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে টিকে গেলেন সীতারাম ইয়েচুরি। আবার একে গোপালন ভবনের হটসিটে থাকছেন তিনি। তবে অনিল বিশ্বাসের ভাবশিষ্য মৃদুল দে–কে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবার। যদিও কেন্দ্রীয় কমিটিতে রযে গেলেন রবীন দেব। বাংলা থেকে কারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে? অন্যদিকে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেলেন বাংলার তিন নতুন মুখ। নতুন সদস্যরা হলেন দেবলীনা হেমব্রম, শমীক লাহিড়ী এবং সুমিত দে। কেরলের কান্নুরে পার্টি কংগ্রেসের শেষ দিনে এই তিনজনের নাম ঘোষণা করল সিপিআইএম। তাতে বাংলার নেতারা একটু অক্সিজেন পেলেন বলে মনে করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, শমীক লাহিড়ী ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন সাংসদ তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক। সুমিত দে দু’বারের নদিয়া জেলার সম্পাদক। দেবলীনা হেমব্রম ‘লড়াকু নেত্রী’ হিসাবে পরিচিত। বাম জমানায় তিনি মন্ত্রী ছিলেন। এবার তাঁকে কমিটিতে নেওয়া হল। সবমিলিয়ে বাংলার ঝুলি ভরল সীতারাম ইয়েচুরির দৌলতেই বলে সূত্রের খবর।