কথায় আছে বিষে বিষক্ষয়। ঠিক যেন সেই নীতিই পালন করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই(FBI)। বিশেষ এনক্রিপডেট অ্যাপ AN0M তৈরি করে তার মাধ্যমে বিশ🍎্বজুড়ে শ'য়ে শ'য়ে অপরাধীকে ফাঁদে ফেললেন গোয়েন্দারা। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্ স্টিং অপ🦋ারেশনের তকমা দেওয়া হচ্ছে এটিকে।
তিন বছর ব্যাপী গোপন অপারেশনের🍎 শেষে মঙ্গলবার এই সাফল্যের ঘোষণা করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি জানান, 'এই অভিযানের জন্য হাত মিলিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ফেডেরাল পুলি𝕴শ(AFP) এবং এফবিআই। যৌথ অভিযানে এখনও পর্যন্ত ৮০০ জনেরও বেশি অভিযুক্ত ধরা পড়েছে।'
শুধু তাই নয়। অপরাধমূলক কাজের লেনদেনের কোটি কোটি টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছ🎃ে। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে অভিযুক্তদের থেকে।
কী এই AN0M?
বছর তিনেক আগে বেশ কিছু এনক্রিপট꧋েড কমিউনিকেশন সার্ভিস ছিল। এগুলি কেবলমাত্র অপরাধꦜীরাই নিজেদের মধ্যে ব্যবহার করত। অপরাধীদের নিজেদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ ভার্সান বলতে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপের মতোই এনক্রিপটেড। ফলে, এর মাধ্যমেই অপরাধমূলক কাজকর্মের প্ল্যানিং, দর কষাকষি করত অপরাধীরা। অন্য কারও জানার উপায় নেই।
তিন বছর আগে এফবিআই এমন বেশ কয়েকটি অ্যাপ একের পর এক বন্ধ করে। তাদের ডেভেলপারদের আটক করা হয়। এর ফলে, আন্ডারওয়ার্ল্ডে এমন একটা নিজেদের গোপন চ্যাট অ্যাপের অভাব দেখা দে𒉰য়। এই সময়েই মগজাস্ত্র খাটান এফবিআই-এর গোয়েন্দারা। নিজেরাই গোপনে তৈরি করান AN0M নামের একটি এনক্রিপটেড চ্যাট অ্যাপ। সেই অ্যাপ নামেই এনক্রিপটেড। আদতে সব চ্যাট পড়তে পারবে এফবিআই। এরপর আন্ডারওয়ার্ল্ডে গুপ্তচর মারফত তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
অপারেশান ট্রোজান শিল্ড :
ছদ্মবেশী গোয়েন্দাদের অনেকেই অপরাধীদের দলে গোপনে কাজ করেন খবরাখবর পাওয়ার জন্য। তারাই এফবিআই-এর সেই অ্যাপ ন🧜িয়ে অপরাধীদের দলে ছড়িয়ে দেয়। জানায় যে এটি একটি নতুন অ্যাপ। এটি ব্যবহার করলে পুলিশ-গোয়েন্দারা টিকꦯিও ছুঁতে পারবে না। প্রমাণও থাকবে না।
ক্রমেই অ্যাপটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে। এমনকি বেশ দুর্ধর্ষ অপরাধীরাও নিজেদের স্মার্টফোনে এই অ্যাপ ইনস্টল করে ব্যবহার শুরু করে। প্রথমে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন গোয়েন্দারা। কয়েক মাস যেতেই অপরাধীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হ🐓য়ে যায় এই অ্যাপ।
এর পরেই শুরু হয় আসল খেলা। চ্যাট দেখে দেখেই একের পর এক অপরাধীকে পাকড়াও করা হয়। বেআইনি লেনদেন, অস্ত্র পাচার, ড্রাগ পাচার, খুনের সুপারি থ🐼েকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে অপরাধীরা চ্যাট করত। আর সেই চ্যাট দেখেই তাদের গিয়ে পাকড়াও করত পুলিশ ও এফবিআই। চ্যাটের রেকর্ড থাকায় প্রমাণ দিতেও কোনও সমস্যা হয়নি।