সম্প্রতি বিটকয়েন সহ বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য নিম্নমুখী গ্রাফ ধরে এগোচ্ছে। পরপর ধস দেখা দিয়েছে ক্র🥃িপ্টো মূল্যে। এই আবহে ফেডারেল 𓆏রিজার্ভ বাজার থেকে স্টিমুলাস প্রত্যাহার করার ইঙ্গিত দিতেই বিশ্বজুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের মূল্য হু হু করে নেমেছে। আর এর জেরে পতন হয়েছে বিটকয়েন সহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিরও।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের ক্যাপিটালাইজেশন ৫.১৭ শতাংশ কমেছে। দাম কমেছে সব বড় ক্রিপ্টোকারেন্সিরই। বিটকয়েনের দাম ৪.০২ শতাংশ কমে ৩৯,৯১৩.৯৩ ডলারে দাঁড়ায়। ইথারিয়ামের দাম কমে ৫.৪৩ শতাংশ। দাম কমে পোলকাডট, লাইটকয়েন, কার্ডানোরও। উল্লেখ্য, এর আগে ডিসেম্বর মাসেও বিটকয়েন সহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির দামের পতন হয়েছ💞িল। যদিও তার আগে গত নভেম্বরে রেকর্ড দামে পৌঁছেছিল বিটকয়েন ও ইথার।
সেই নভেম্বর থেকে🦩 বিটকয়েনের পতনের ফলে এর মোট বাজার মূল্যে মোট ৬০০ বিলিয়নেরও বেশি মুছে গিয়েছে এবং সামগ্রিক ক্রিপ্টো ♉বাজার থেকে ১ ট্রিলিয়নের ডলারেরও বেশি হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১০.৭ কোটি যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই আবহে ভারতে ক্রিপ্টো বিল নিয়ে চর্চা চলছে বেশ কয়েক মাস ধরেই। এর আগে শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি তালিকাভুক্ত করা হলেও পরে তা পেশ করা হয়নি সংসদে। আসন্ন বাজেট অধিবেশনে সেটি পেশ করা হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে যদি ভারতীয় ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীরা যদি তাদের ক্রিপ্টো বিক্রি করা শুরু করেন, তাহলে আরও বড়সড় পতন ঘটতে পারে ক্রিপ্টো বাজারে।
এদিকে, আমেরিকায় বাইডেন প্রশাসন আগামী মাসেই ডিজিটাল সম্পদের জন্য একটি প্রাথমিক সরকারি কৌশল প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ক্রিপ্টো সংক্রান্ত ঝুঁকি এবং সুযোগগুলির মূল্যায়ন করার জন্য ফেডারেল এজেন্সিগুলিকে কাজ ꦯকরে চলেছে বর্তমানে। এই বিষয়েও গোটা বিশ্ব জুড়ে জল্পনা তুঙ্গে রয়েছে। কারণ আমেরিকা বিশ্বের অন্যতম বড় বাজার ক্রিপ্টোকারেন্সির।