চেন্নাই বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালানকারী চক্রের পর্দা ফাঁস করল শুল্ক দফতর। বিমানবন্দরে লাউঞ্জে অবস্থিত একটি দোকানের আড়ালে গত কয়েক মাস ধরেই সোনা পাচার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে দোকান মালিক-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছেন আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ওই দোকানের মালিক একজন ইউটিউবার। সোনা চোরাচালানের কাজে সাহায্য করার জন্যই ওই ইউটিউবার বিমানবন্দরে একটি খেলনা, ব্যাগের দোকান খুলেছিল। আর সেই দোকান হয়েই দেশে বিদেশে অনা𝓀য়াসে সোনা পাচার করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: গোপনাঙ্গে লুকিয়ে সোনা পাচারের চেষ্🍷টা, চেকিংয়ে ধরা পড়ল মহিলা, উদ্ধার ♏৬টি বার
শুল্ক দফতর সূত্🐠রে জানা গিয়েছে, ওই ইউটিউবার তথা দোকান মালিকের নাম মহম্মদ সাবির আলি। আবুধাবিতে বসবাসকারী শ্রীলঙ্কার সোনা পাচারকারীরা সোনা পাচারে সাহায্য করার জন্য তাকে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। এরপর সেই টাকা দিয়ে মাসখানেক আগেই বিমানবন্দরের লাউঞ্জে একটি খেলনা, ব্যাগ বিক্রির দোকান খুলেছিল। তাতে বেশ কয়েকজন কর্মীও রেখেছিল। শুধু তাই নয়, সোনা চোরা চালানের সুবিধার্থে পাচারকারীরা, সাবির আলি এবং তার দোকানের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। তারপরেই বিমানবন্দরের সেই দোকানের আড়ালে শুরু হয় সোনা💯 পাচার। সূত্রের খবর, এই দোকানের মাধ্যমে গত দু'মাসের প্রায় ২৬৭ কেজি সোনাপাচার হয়েছে, যার বাজারদর প্রায় ১৬৭ কোটি টাকা। আর তার মধ্যে ইউটিউবার গত দু'মাসে ৩ কোটি টাকা আয় করেছে। এই পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে তাকে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, সাবির তিনি চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। ওই ইউটিউবারের ‘ꦑশপিং বয়েজ’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সোনা পাচারকারীরা সেই ইউটিউব চ্যানেল মারফত সাবির আলির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর সোনা পাচার শুরু হয়। জানা যায়, চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে দোকানটি খোলা হয়। সেখানে এটি অনলাইন জব পোর্টালের মাধ্যমে চুক্তির ভিত্তিতে কর্মীদের নিয়োগ করে।
শুল্ক দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে গত ২৯ জꦕুন। দোকানের একজন কর্মচারীকে দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তাকর্মীদের। কারণ দোকানে কিছু সোন🐈ার টুকরো পাওয়া গিয়েছিল। তা দেখে দোকানের এক কর্মচারীর পাশাপাশি এক যাত্রীকে আটক করে শুল্ক দফতর। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় আসল তথ্য। পরে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।।