ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের জেরে মুম্বইতে প্রাণ গিয়েছে দুই নাবালকের। তারা সমুদ্রে তলিয়ে যায়। এই ঘটনায় নিখোঁজ আরও দুই। আর এবার গুজরাটেও ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের জেরে মৃত্যু হল তিনজনের। জানা গিয়েছে, ভূজে একটি দেওয়াল ধসে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। মৃত ছেলেটির বয়স ৪ এবং মেয়েটির বয়স ৬ বছর বলে জানা গিয়েছে। এদিকে রাজকোটে ঝড়ের জেরে একটি গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে হর্ষা বাভালিয়া নামক এক মহিলার। জানা গিয়েছে, তিনি বাইক চালাচ্ছিলেন। তাঁর স্বামী পিছনে বসেছিলেন বাইকের। সেই সময় একটি গাছ তাদের ওপর এসে পড়ে। মৃত্যু হয় হর্ষার। এদিকে তাঁর স্বামী গুরুতর আহত হন এই দুর্ঘটনায়। (আরও পড়ুন: ল্যান্ডফলের আগেই তরতাজা ২ প্রাণ কেড়ে নিল ঘূর্ণিঝড় ‘বি😼পর্যয়’, নিখোঁজ আরও ২)
উল্লেখ্য, হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ১৫ জুন, বৃহস্পতিবার এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল ঘটবে। সেই সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ১৫ জুন সন্ধ্যার 𝕴দিকে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের ওপর দিয়ে যাবে। গুজরাটের জাখাউ বন্দরের ওপর দিয়ে ভূ-ভাগে আছড়ে পড়বে বিপর্যয়। তার আগেই অবশ্য উপকূলে তাণ্🍃ডব চালাচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের বহু জায়গায় গাছ পড়ে গাড়ি ভেঙেছে। ক্ষতি হয়েছে কাচা ও পাকা বাড়িরও।
এদিকে আজ সকালে মৌসম ভবনের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গুজরাট উপকূলে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। আজ ভোর সাড়♛ে পাঁচটা নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড়টি পোরবন্দরের ৩০০ কিমি পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এদিকে জাখাউ বন্দরের ৩৪০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে আছে এই ঝড়। দ্বারকার ২৯০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে আছে বিপর্যয়। মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের উপকূলবর্তী বহু জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়েছে। আজ আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ১৫০ থেকে ১৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়া মাঝে মাঝে ১৮০ কিমিও ছুঁতে পারে। গতকাল মুম্বই বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বাতিল করা হয়েছে বহু ট্রেন। জানা গিয়েছে, আগামিকাল ১৪ জুন ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ভারতীয় উপকূলের আরও কাছে চলে যাবে। এর জেরে কেরল, কর্ণাটক ও মহারা🍸ষ্ট্র উপকূলে প্রায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এছাড়া সাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রায় ১০০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ঘূর্ণিঝড় অঞ্চলে সেই ঝোড়ো গতি ১৫০ কিমি পার করবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে।