ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের চোটে মুম্বইতে বেশ ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূল থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে থাকলেও বাণিজ্যনগরীর ওপর প্রভাব ফেলেছে বিপর্যয়। এর জেরে মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এর জেরে বহু উড়ানের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। বিমানবন্দরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। যদিও এই সমস্যার জন্য যাত্রীদের♏ কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তপক্ষ। তবে বিমানবন্দরে অপেক্ষাকৃত যাত্রীদের এর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ꧅েও টুইট করে পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।
এদিকে বহু বিমানের গেট নম্বর বদল করা হয়। এর জেরে যাত্রীদের এক জায়াগা থেকে মালপত্র নিয়ে বারবার অন্যত্র ছুটতে হয় বলে অভিযোগ। এরই মাঝে বিমানবন্দরের একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে আকাসা এয়ারের বেঙ্গালুরুগামী বিমানের যাত্রীরা বারবা♛র গেট বদলের ঝক্কি পোহান। এদিকে একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, উড়ান প্রায় দুই ঘণ্টা দেরি হওয়ায় এক মহিলা ইন্ডিগোর কর্মীর সঙ্গে বচসায় জড়ান। এরকম আরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটে বিমানবন্দরে।
এদিকে ভারতীয় উপকূলের দিকে আরও কিছুটা এগিয়ে এস🥂েছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তাউটের থেকেও বেশি শক্তিশালী হতে চলেছে বিপর্যয়। এই আবহে মৌসম ভবনের তরফে একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ১৫ জুন, বৃহস্পতিবার এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল ঘটবে। সেই সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ১৫ জুন দুপুরের দিকে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের ওপর দিয়ে যাবে। গুজরাটের মান্ডভি এ🤪বং পাকিস্তানের করাচির মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বিপর্যয়।
এর আগে ১৩ জুন আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ১৫০ থেকে ১৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়া মাঝে মাঝে ১৮০ কিমিও ছুঁতে পারে। ১৪ জুন ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ভারতীয় উপকূলের আরও কাছে চলে যাবে। এর জেরে কেরল, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র উপকূলে প্রায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এছাড়া সাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রায় ১০০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বই🐻বে। ঘূর্ণিঝড় অঞ্চলে সেই ঝোড়ো গতি ১৫০ কিমি পার করবে।