প্রমোদ গিরি
দার্জিলিং চা বাগানে ফিরল স্বস্তির নিঃশ্বাস। এর আগে ২০২১ সালে 'টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া' 😼একটি নোটিফিকেশন দেয়। সেখানে জানানো হয় যে, কোনও আমদানি করা চায়ের সঙ্গে দার্জিলিং চায়ের মিশ্রণ করা যাবে না। জি আই ট্যাগের নিরিখে বোর্ড এই সিদ্ধান্ꦉত নিয়েছিল। সদ্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া।
২০২২ সালে অক্টোবরের ১৮ তারিখে টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার তরফে এই নয়া নোটিফিকেশন আসে। জানানো হয় যে, ভিন দেশ থেকে আগত চায়ের মিশ্রণ নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা তুলে নেওয়া হল। এর আগে, দার্জিলিং চায়ের সবচেয়ে বড় বিক্রেতারা ওই চা কেনা বন্ধ করে দিয়েছিল। মিশ্রণ বিহীন চা কিনতে চাইছিলেন না তারা। এরপরই টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া ওই সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত, তারা দার্জিলিং চা কিনত তার সঙ্গে অন্য ধরনের চা মেশাতো আর তা কম দামে বাজারে বিক্রি করত। কারণ দার্জিলিং চায়ের দাম খুবই বেশি। এই মিশ্রণকে রুখে দিতেই দার্জিলিং চায়ের বিক্রেতারা বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েন। তাঁদের ব্যবসায় ১২ শতাংশ ঘাটতি দেখা যায়💞 শুধুমাত্র একটি কর্পোরেট ক্রেতার থেকেই। ফলে সর্বতভাবে বহু অংশের ক্ষতি হয়ে যায়। এদিকে, 'প্রিমিয়াম কোয়ালিটি' দার্জিলিং চা যারা কেনে তারা হয় খোলা বাজার নয় নিলাম থেকে কিনত। তবে তারাও পরে বাধ সাধে। তারা দাবি করে যে, কয়লার দাম বেড়ে যাওয়া ও শ্রমিকের বেতন বেড়ে যাওয়ার ফলে সমস্যা আরও ব্যাপক হয়। ফলে ক্ষতির মুখ🍷ে পড়ছিল দার্জিলিং চা।
ব্🦩রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ইস্তফা, গদিতে বসার এღক মাসেই বড় ধাক্কা
এদিকে, ভারতের চায়ের বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। কারণ, তখন দার্জিলিং চা নিয়ে বিদেশ থেকে আমদানী করা চা মেশাতে পারছিল না সংস্থাগুলি। ফলে তারা দার্জিলিং চা বেশি দামে না কিনে অনেকেই শ্রীলঙ্কা ও নেপাল থেকে চা কিনে নিচ্ছিল। ফলে ভারতের চায়ের বাজারেও পড়েছিল প্রভাব। উল্লেখ্য,🌞 নেপালের চায়ের একটি সুবিধার দিক হল, দার্জিলিংয়েরই মতো আবহাওয়ায় সেখানে চা উৎপাদন হয়। আর তার দামও কম। ফলে বাজার নেপালমুখী হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ফ্যাক্টরকে নজরে রেখে সিদ্ধান্ত নেয় টি বোর্ড অউ ইন্ডিয়া।