‘শবে বরাত’ বা ‘লাইলাতুল বরাত’ হল ম🐈ুসলিম সমাজের অন্যতম পবিত্র উত্সব, যা ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষরা পালন করেন নিষ্ঠা সহকারে। ফারসি শব্দ ‘শবে বরাত’ এর অর্থ হল সৌভাগ্য এবং ক্ষমার রাত্রি। হিজরি ক্যালেন্ডারের শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতে শবে বরাতের সূচনা হয়। ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতটাই হল সৌভাগ্যের রজনী। এই বছর এপ্রিল মাসের ৮-৯ তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে শবে বরাত।
মহিমান্বিত রজনী হিসেবে মুসলিম সমাজে শবে বরাতের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ এই রাতে বান্দাদের ইবাদত ও বন্দেগিতে নিমজ্জিত থাকার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আল্লাহ এই রাতে তাঁর বান্দাদের গুনহা(অপরাধ) মাফ(ক্ষমা) করে দেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। মহিমান্বিত এই রাতে তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের থেকে অনুগ্রহ লাভের আশায় নামাজ ಌপাঠ করে, কোরাণ তেলাওয়াত করেন এবং জিকিরে ডুবে থাকেন। অনেকেই এদিন রোজা রাখেন এবং গোপনে দান-খয়রাতের কাজ করে থাকেন। এদিন অতীতের পাপ কাজের জন্য আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন এবং ভবিষ্যত জীবনের কল্যাণ কামনা করে পয়গম্বরের কাছে। অনেকে, এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য 🐎আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করেন। এই পবিত্র রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলীমরা আত্মীয়-প্রতিবেশী-দুঃস্থ মধ্যে হালুয়া, ফিরনি সহ নানারকমের খাবার বিতরণ করে থাকে। রাতে মসজিদ, কবরস্থান এবং মাজারে গিয়ে চলে প্রার্থনা।
হাদিস শাস্ত্রে 'শবে বরাত' -এর তাত্পর্যের কথা বলতে গিয়ে 'রসূল🎃ুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক (আল্লাহ ছাড়া অন্য কারুর ইবাদত করে যে) ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।
ব্যাপক উত্সাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হয় গোটা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া জুড়ে। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আজারবাইজান, তুরস্ক, উজবেবিস্তান, তাজাকিস্তান, কাজাকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান, কিরগিজস্তান জুড়ে চলে শবে বরাতের উত্সব।আরব বিশ্বে কেবলমাত্র সুফি ঐতিহ্যের আরব ও শিয়া মু🌠সলিমরা এই উৎসব পালন করে। স্থানভেদে এই উত্সব ভিন্ন নামে পরিচিত-ইরান ও আফগানিস্তানে নিম শা'বান,তুরস্কে বিরাত কান্দিলি, ভারতীয় উপমহাদেশে শবে বরাত বা নিফসু শাবান।
শবে বরাত মুসলিমদের কাছে এককথায় রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে, কারꦗণ আরবি ক্য🐎ালেন্ডার অনুসারে শাবান মাসের পরেই আসে রমজান মাস। তাই শবে বরাতের রাত থেকে আসন্ন রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায় পুরোদমে।
প্রসঙ্গত, এই বছর করোনাভাইরাস সংকটের জন্য ꦺমুসলীম ধর্মগুরু, ইসলামিক সংগঠন এবং সরকারের পক্ষ থেকেও বাড়িতে থেকেই এই 🍨উত্সব পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।