নিজের মাকে খুন করে তাঁর দেহ কেটে মজুত রাখার অপরাধে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হল ২২ বছর বয়সি এক যুবতীকে। জানা গিয়েছে ধৃত যুবতীর নাম রিম্পল জৈন। তাঁর মৃত মায়ের নাম বীণা প্রকাশ জৈন। পুলিশ জানিয়েছে, মাকে খুন করে তাঁর দেহ কেটে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বাড়িতে রেখে দিয়েছিল রিম্পল। সেভাবেই বিগত দুই মাস ধরে মায়ের দেহাংশের সঙ্গে বসবাস করছিল রিম্পল। ঘটনাটির আঁচ পাওয়া যায় মঙ্গলবার। জানা গিয়েছে, রিম্পল তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকত। রিম্পলের বয়স যখন ৬ বছর, তখন তার বাবা মারা যায়। এরপর মা বীণা তাকে বড় করে তোলেন। এদিকে মৃতা বীণার পাঁচ বোন ও দুই ভাই আছে। (আরও পড়ুন: বিমানের ককপ🎀🦋িটেই ‘হোলি উদযাপন’, 'ডি-রস্টার' করা হল স্পাইসজেটের দুই পাইলটকে)
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ জানায়, বীণার এক ভাগ্নী তাঁকে মাসিক খরচের টাকা দিতে লালবাগের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঘটনা প্রসঙ্গে ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (জোন ৪) প্রবীণ মুন্ডে বলেন, 'রিম্পল ভাগ্নীর ডাকে দরজা খোলেনি। তখন বীণাদেবীর ভাগ্নী প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তাদের সম্পর্কে খোঁজ🐓 নেন। বীণাদেবীর ভাগ্নীকে প্রতিবেশীরা বলেন যে বীণাকে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেখা যাচ্ছে না। এরপরই বীণাদেবীর ভাগ্নী তাঁর মা ও এক মাসিকে বিষয়টি জানান। তাঁরাও ঘটনাস্থলে আসেন। দরজায় টোকা দিতে থাকেন তাঁরা। রিম্পল কিছুক্ষণ পরে দরজা খোলে। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে না দিয়েই কিছুক্ষণ পরেই দরজা বন্ধ করে দেয় রিম্পল।' প🧔ুলিশ আধিকারিক জানান, জোর করেই এরপর বীণার আত্মীয়রা বাড়িতে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকের মাঝেই OPS-এর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট রাজ্য সরকারি কর💃্মীদের
রিম্পল নাকি প্রথমে বীণাদেবীর আত্মীয়দের মিথ্যা বলেন যে তাঁর মা কানপুরে গিয়েছেন। এরপর আত্মীয়রা রিম্পলকে কালাচৌকি থানায় নিয়ে যায়। বীণার বড় ভাই সুরেশকুমার পরোয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ ব্যক্তির অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশ লালবাগে বীণাদেবীর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালালে তাঁর দেহাংশ উদ্ধার হয়। রিম্পল তার মায়ের হাত-পা কেটে ফেলেছিল। এবং তা জলের ট্যাঙ্কে রাখা হয়েছিল। বীণাদেবীর কোমরের অংশ এবং মাথা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে আলমারির ভিতরে রাখা হয়েছিল। এদিকে জেরায় রিম্পল দাবি করে, তার মা নাকি সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান। এদিকে বীণাদেবীকে কোনও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়নি। এদিকে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয় যে কীভাবে বীণাদেবীর মৃত্যু ঘটেছে। দেহাংশ ময়নাদন্তের জন্য পাঠানো 𒁏হয়েছে।