বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জের পশ্চিমতল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় রবিবার আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৪। স্থানীয় পুলিশকর্তা ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।শেষ ৪ জন মৃতের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গিয়েছে। তাঁরা হলেন ওই এলাকার বাসিন্দা ও মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ শামিম হোসেন (৪৮), জুলহাস ব্যাপারী (৩০) এবং স্থানীয় পত্রিকার চিত্রসাংবাদিক নাদিম (৪৫)।শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এশার নামাজের পর ভয়াবহ বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিমতল্লা এলাকা ওই মসজিদে। গুরুতর দগ্ধ হন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মসজিদের ৬টি এসি, ফ্যান, বিদ্যুতের তার, প্যানেল বোর্ড সবকিছু পুড়ে যায়। দরজা–জানালার সমস্ত কাঁচও ভেঙে গিয়েছে। দমকল ও পুলিশের অনুমান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও গ্যাসের পাইপলাইনে লিকেজ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।এদিকে, রবিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ঘটনার কারণ যত দ্রুত সম্ভব বের করা হবে। বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের পর তদন্ত শুরু করেছে। এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন ‘ওই অল্প জায়গায় ৬টা এসি। গ্যাসের লাইনের ওপরেই নাকি এই মসজিদটা নির্মাণ করা হয়েছে। এ সব কী করে সম্ভব? সব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’পাশাপাশি এই ঘটনায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জেলা প্রশাসন, দমকল বিভাগ, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পর এই দুটি কমিটি মিলিয়ে এ ঘটনায় ৫টি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে।