গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে। তারই মধ্যে ঠিক কলকাতার গার্ডেনরিচের মতোই সেখানে আচমকা ভেঙে তলার একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। তাতে মৃত্যু বেড়ে হল ৫ জন। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর বাবুসাপল্যায় এই নির্মাণাধীন ভবন ভেঙে পড়ে। তাতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। ঘটনায় গভীর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। তিনি জানিয়েছেন, বহুতলটি বেআইনি ছিল। ইতিমধ্যেই বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় তিনজনের নামে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একজনকে গ্রেফতার 🐎করেছে। তিনি ওই বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সুরাটের বহুতল ভಌেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত ৭, ১৭ ঘণ্টা পরও আটকে আরও বহু
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) ডি দেবরাজ এস জানান, এখনও পর্যন্ত ১৮ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও আরও তিনজন বহুতলের ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে সন🥃্দেহ করা হচ্ছে। ফলে মৃত্যুসংখা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া শ্রমিকদের খুঁজে বের করতে কুকুরের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। প্রবল ✱বৃষ্টিপাতের সময় বিকেল ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, শ্রমিকরা চা খাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তখন আশেপাশের বাসিন্দারা আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে নেমে পড়েন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার💦 সময় ২১ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। তারা কর্ণাটকের ইয়াদগির জেলা, বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। মল্লেশ্বরামের বাসিন্দা মুনিরাজু রেড্ডি এবং তাঁর ছেলে মোহন রেড্ডির মালিকানাধীন ওই জায়গ♍ায় ৪০x৬০ ফুট প্লটে বহুতলটি তৈরি হচ্ছিল।
এটিকে অবৈধ নির্মাণ বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, রেড্ডিরা অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নির্মাণটি বিনা অনুমতিতে নির্মাণ সহ একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করে গড়ে উঠছিল। মহাদেবপুরার জোনাল কমিশনার কে এন রমেশ নিশ্চিত করেছেন যে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিল্ডারকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে , ওই জায়গায় গ্রাউন্ড-প্লাস-সিক্স বিল্ডিং গড়ার অনুমতি নেই। নি☂খোঁজ শ্রমিকদের পরিবার এবং সহকর্মীরা ঘটনায় উদ্বিগ্ন রয়েছেন। বাড়ি ভেঙে পড়ার সেই দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। সোশ্যাল মাধ্যেমে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে একেবারে খেলনা ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে ৭ তলার বাড়িটি।