বাংলাদেশের নতুন সরকারের কাছে অন্যতম একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। বিধ্বংসী বন্যায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ১২টি জেলা। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ি🎶য়েছে ২০ জনে। তবে ভয়াবহ বন্যার কয়েকদিন পর বাংলাদেশের নিচু এলাকায় জল কিছুটা কমছে। তারপরও ঘরছাড়া রয়েছেন বহু মানুষ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় জারি মৃত্যুমিছিল, 'লাথ মেরে' ভারত থেকಞে বাংলাদেশিদের বের করার হুঁশিয়রি প্রদ্যোতের
বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং ﷽নৌবাহিনীর জওয়ানরা। তারা সবরকমভাবে দুর্গতদের সাহায্য করছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ফারুক ই আজম। তি🦹নি এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘জল কমতে শুরু করেছে। এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।’ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে এখনও ৩ লক্ষ ৭ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৫২ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
মন্ত্রী বলেন,෴ ‘এখন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছি। যাতে আমরা ত্রাণ সামগ্রী খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারি তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বন্যার পর যেন কোনও সংক্রমণ না ছড়ায় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত মাস থেকেই ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয় । তার পর চলতি মাসের শুরুতে সরকার পরিবর্তনের পর আরও নৈরাজ্য তৈরি হয়েছিল দেশটিতে। পরে নতুন সরকার দায়িত্বে নেওয়ার পর বাংলাদেশ স্বাভাব꧂িক ছন্দে ফিরে আসছে। সেই মুহূর্তে ভয়াবহ বন্যায় চরম সমস্যায় পড𓆏়েছে বাংলাদেশ।
বিধ্বংসী বন্যায় রাজধানী ঢাকা এবং প্রধান বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্যে জাতীয় সড়ক ও রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে বন্যা কবলিত জেলাগুলিতে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যবসাও ব্যাহত হচ্ছে।যদিও প্রতিবছর বাংল🌞াদেশে বন্যা হয়ে থাকে। কিন্তু, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দুর্যোগ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন ব🍌িশেষজ্ঞরা।সম্প্রতি দেশটিতে ঘন ঘন বন্যা দেখা দিয়েছে। গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুযায়ী, দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি হল বাংলাদেশ।