সংসদের অধিবেশনে অগ্নিবীর নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, প্রয়োজন মিটে গেলে তাঁদের ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তে মৃত্যু হলে তাঁদের শহিদ বলা হয় না। তাঁদের পরিবার পেনশন বা ক্ষতিপূরণ পায় না। যদিও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেছিলেন, রাহুল গান্ধী ভুল তথ্য দিচ্ছেন। মৃতদেಌর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এবার এক নিহত অগ্নিবীরের পরিবার স্বীকার করে নিলেন যে ক্ষতিপূরণের টাকা তারা পেয়েছেন। ক্ষতিপূরণ বাবদ তারা পেয়েছেন ১.১০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ‘অগ্নিবীর স্কিমে বদল চাই’, UCC, ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে সমর্থন𝓡 দিয়ে শর্ত নীতীশের
২০২৩ সালের অক্টোবরে অক্ষয় গাওয়াতে নামে এক অগ্নিবীর সিয়াচেন হিমবাহে কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন। তিনি মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলার ♉বাসিন্দা। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, যে তারা ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকার এবং সেনা𓆉বাহিনীর কাছ থেকে প্রায় ১.০৮ কোটি টাকা পেয়েছে।
অক্ষয়ের পরিবার এবং স্থানীয় সরকারি আধিকারিক⛎রা জানিয়েছেন, যে এক মাসের মধ্যে এই অর্থ পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে বিমা হিসেবে ৪৮ লক্ষ টাকা, কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও রাজ্য সরকার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছ♓ে পরিবারটি।
সাংবাদিকদের একথা জানান অক্ষয়ের বাবা লক্ষ্মণ গাওয়াতে। একইসঙ্গে মেয়ের চাকরির দাবি জানান তিনি। এছাড়াও, পেনশন দাবি করেছেন যাতে মাসিক ভাতা পাওয়া যায়। ৫০ বছর বয়সি লক্ষ্মণের বাড়ি পিম্পলগাঁও সরাই গ্রামে। তিন একর চাষের জমি রয়েছে তাঁর। তিনি তাঁর ১৯ বছর বয়সি মেয়ে শ্বেতার জন্যও একটি সরকারি চা🐭করির দাꦚবি করেছেন।
এর আগে রাহুল গান্ধী অগ্নিবীর নিয়ে বলেছিলেন, অগ্নিবীরদের ব্যবহার করে ছুড়ে দেওয়া হয়। একজন জওয়ান পেনশন পাচ্ছেন, অন্যজন পাচ্ছেন না। জওয়ানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। রাহুলের দাবি ছিল, অগ্নিবীরের আওতাধীন জওয়ানরা পেনশন পাননা। পাল্টা রাজনাথ তখনই ব♛লেন, একজন অগ্নিবীরের সীমান্তে মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পান। রাহুলের আরও দাবি ছিল, অগ্নিবীর প্রকল্পটি যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই আনা হয়েছিল এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরাসরি নির্দেশে হয়েছে।
পালটা রাজনাথ সিং বলেন, ‘বিরোধী দলনেতা ভুল বক্তৃতা দিয়ে কক্ষকে বিভ্রান্♉ত করছেন, এটি উচিত নয়।’ বিরোধী দলনেতা রাহুলের বক্তব্যের পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘তাঁর উচিত বাস্তবটা তুলে ধরা। অন্যথায়, তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।’