১৯৮৪ সালের দাঙ্গায় শিখ সম্প্রদায়ের তিনজনকে হত্যার মামলায় কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল আদালত। এই নির্দেশ দেওয়ার সময় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত বলেছে, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে জগদীশ ওই এলাকায় গুরুদ্বারে একটি বেআইনি সমাবেশের সদস𝄹্য ছিলেন।’
আরও পড়ুন: ইন্দ্রকুমার গুজরালের কথা শুনলে রোখা যেত '৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গℱা-মনমোহন সিং
আদাꦦলতের বিশেষ বিচারক রাকেশ সিয়াল বলেন, ‘টাইটলার পুল বঙ্গেশ গুরুদ্বার ধ্বংস করা, শিখদের হত্যা এবং তাদের সম্পদ লুট করার জন্য বিক্ষোভকারীদের প্ররোচিত করেছিলেন এবং উস্কানি দিয♒়েছিলেন।’ এরফলে ঘটনার প্রায় ৪০ বছর পরে কংগ্রেস নেতাকে এখন হত্যা, খুনের প্ররোচনা, দাঙ্গা এবং ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে শত্রুতা তৈরির জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার পরে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়েছিল। শিখ বিরোধী দাঙ্গায় তিন জন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ সর্দার ঠাকুর🍌 সিং, বাদল সিং এবং গুরুচরণ সিংকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আদালত বলেছে, ঘটনার সময় টাইটলার ‘আগে মেরে ফেল, তারপর লুট কর’ এমনই পরামর্শ দিয়েছিলেন। টাইটলার বলেছিলেন, ‘শিখরা তোমাদের মা ইন্দিরা গান্ধীকে মেরে ফেলেছে।’ আদালত উল্লেখ করেছে, কংগ্রেস নেতা শিখদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক শক্তি এবং হিংসা ব্যবহার করার জন্য দাঙ্গাকারীদের উৎসাহিত করেছিলেন।
উল্লেখ্য, শিখ বিরোধী দাঙ্গার ঘটনার তদন্তের জন্য তৎকালীন কেন্দ্র সরকার ২০০০ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নানাবতীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল। কমিশনের রিপোর্ট বিবেচনা করার পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিবিআইকে তৎকালীন সংসদ সদস্য এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই ঘটনায় সিবিআই ২০০৫ সালের নভেম্বরে মামলা নথিভুক্ত করেছিল। তবে তখন টাইটলারকে ক্লিন চিট দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, ২০১৫ সালে আদালতের নির্দেশে টাইটলারের বিরুদ্ধে মা🗹মলা পুনরায় চালু হয়। সিবিআই ২০২৩ সালের মে মাসে চার্জশিটে টাইটলারকে পুল বঙ্গেশ গুরুদ্বারের কাছে বিক্ষোভকারীদের উসকানি দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল এরফলে সর্দার ঠাকুর সিং, বাদল সিং এবং গুরচরণ সিংয়ের মৃত্যু হয়েছিল।
আদালত টাইটলারের আইনজীবী এতদিন পর সাক্ষী দেওয়ার বিরোধীরা করে। তবে সরকারি আইনজীবী দাবি করেছিলেন, যে ভয়ের কারণে এতদিন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা, কমিটি বা কমিশনের কাছে জবানবন্দি দিতে সক্ষম হয়নি সাক্ষীরা। কারণ তারা পরিবারের 🐠নিরাপত্তার কথা ভেবেছিলেন।