দিল্লির সুলতানপুরী দুর্ঘটনায় মৃত অঞ্জলি সিংয়ের বাড়িতে গেলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। আজকে তিনি অঞ্জলির বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যকে সরকারি চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন সিসোদিয়া। এর আগে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ১০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছিলেন 🌳অঞ্জলির পরিপারের জন্য। এদিকে এদিন দিল্লি পুলিশকে তোপ দাগেন মণীশ সিসোদিয়া। উল্লেখ্য, দিল্লি পুলিশ অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অন্তর্গত। সিসোদিয়া বলেন, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বিজেপি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে বিরোধীদের ধ্বংস করার জন্য সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করছে।'
জনা গিয়েছে, গাড়ির চাকায় পা আটকে যাওয়ার পর সেভাবেই ১২ কিমি রাস্তার সঙ্গে ঘষা খেতে খেতে যেতে হয়েছিল অঞ্জলিকে। এর জেরে মাথা ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল অঞ্জলির। তাঁর মাথা ঘিলু মেলেনি। থেঁথলে গিয়েছিল খুলি। ভেঙে গিয়েছিল তাঁর শিরদাঁড়া। অঞ্জলির শরীরের ৪০টি স্থানে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। বেশ কিছু অংশ ঘষা লেগে, পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছিল। পিঠ𝄹ের দিক থেকে বেরিয়ে এসেছিল ফুসফুসও বেরিয়ে এসে দেহের বাইরে ঝুলছিল। পিঠের চামড়া উঠে যায়। এর আগে তরুণীর মায়ের অভিযোগ ছিল, মেয়েকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এর কোনও উল্লেখ নেই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃতার যৌনাঙ্গে কোনও ধরনের আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।
উল্লেখ্য, বর্ষবরণের রাতে দিল্লির সুলতানপুরীতে একটি স্কুটারকে ধাক্কা মেরেছিল একটি গাড়ি। এরপর স্কুটার আরোহী তরুণীর পা আটকে গিয়েছিল গাড়ির নীচে। সেই অবস্থাতেই তরুণীকে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ছেঁছড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। ইতিমধ্যেই গাড়িতে থাকা পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল অভিযুক্ত। দুর্ঘটনা ঘটনানো গাড়িটি মারুতি সুজুকি বলেনো। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ক্রেডিট কার্ড এজেন্ট, একজন গাড়ির চালক এবং এক রেশন দোকানের মালিক রয়েছে। কাঞ্ঝাওয়ালা এলাকায় তরুণীর দেহটি গাড়িটি থে🎉কে আলাদা হয়। এদিকে অভিযুক্তদের দাবি, একটি স্কুটি তাদের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। তবে তারা নাকি বুঝতে পারেনি যে তাদের গাড়ির নীচে তরুণীর দেহ আটকে গিয়েছে।