২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার অধিকার নাকি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নেই। এই দাবি জানিয়েই দিল্লি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেই জনস্বার্থ মামলাটি আজ খারিজ করে দিল দিল্লির উচ্চ আদালত। আবেদনকারী রজনীশ ভাস্কর গুপ্ত দাবি করেছিলেন, আরবিআই আইন অনুযায়ী, এভাবে নোট প্রত্যাহারের এক্তিয়ার নেই আরবিআই-এর হাতে। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারই বিজ্ঞপ🎉্তি জারি করে নোট প্রত্যাহার করতে পারে। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি ছিল, এভাবে কোনও নোট বাজারে ছাড়ার কয়েক বছরের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দি𓆏য়ে প্রত্যাহার করে নেওয়া অনৈতিক। তিনি অভিযোগ করেন, কোনও দোকানদারই এখন আর ২০০০ টাকার নোট নিতে চাইছে না। তাতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। তবে আবেদনকারীর এই সব যুক্তি মানতে চায়নি দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্য প্রসাদের বেঞ্চ। তাঁরা মামলাটি খারিজ করে দেন।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, ঠিক রাত ৮টার সময় নোটবাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েক মিনিটেই গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। বাতিল করা হয়েছিল সেই সময়ের ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট। বলা হয়েছিল, ভুয়ো টাকা এবং কালো টাকার রমরমা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ। পরবর্তীতে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল। তবে গত ১৯ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া একটি নির্দেশিকা জারি করে নতুন ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা ক🐲রে। এই নোটগুলি বদল করতে বা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় আরবিআই-এর তরফে।
আপাতত এই নোটগুলি বৈধতা থাকবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে খুচরো লেনদেনের ক্ষেত্রে কেউই আর ২০০০ টাকার নোট নিতে চাইছে না। প্রসঙ্গত, প্রায় ৭ বছর আগে ছাপানো শুরু হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট। তবে এই নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা আগের থেকেই ছিল আরবিআই-এর। এর জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকবার গুজবও রটেছে যে ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছে। তবে গত মে মাসে পাকাপাকি ভাবে ২০০০ টাকার নোটের 'ব্যাঙ্ক ওয়াপসি'র ঘোষণা করে আরবিআই। তবে আগেরবারের মতো এই 'নোটবন্দি' আচমকা হচ্ছে না। তাই সাধারণ মানুষের তত কষ্টও হচ্ছে না। তবে এরই মধ্যে আরবিআই-এর এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। কিছু মামলায় আরবিআই-এর নোট প্রত্যাহারের সিদ্🌟ধান্ত নিয়ে প্রশꦬ্ন করা হয়েছে, আবার কিছু মামলার আবেদনে নোট বদলের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।