এবার দিল্লি হাইকোর্টের কোপে পড়তে হল উইকিপিডিয়া কর্তৃপক্ষকে। আদালত🥀ের স্পষ্ট বার্তা, যে ইউজার বা অ্য়াডমিনিস্ট্রেটররা উইকিপিডিয়ার তথ্য় সম্পাদনা করেন, তাঁদের নাম প্রকাশ্যে না আনার যে 'পদ্ধতি' বা সিস্টেম প্রচলিত রয়েছে, এবার তা 'বাতিল করা দরকার'।
সোমবার হওয়া একটি শুনানিতে আদালত 'উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন' (ডাব্লিউএমএফ)-এর কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছে। সংশ্লিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, উইকিপিডিয়ায় 'এসিয়ান নিউজ ইন্টারন্য়াশনাল বনাম উইকিমিডিয়া🤪 ফাউন্ডেশন' শীর্ষক যে পেজটি রয়েছে, তাতে আদালত তীব্র আপত্তি জানাচ্ছে।
কারণ, সংশ্লিষ্ট বিষয়টি এখনও পর্যন্ত আদালতের বিচারাধীন। তাই দিল্লি হাইকোর্টের মৌখিক নির্দেশ, 'আপনাদ﷽ের ক্লায়েন্ট যদি শুনানির মুখে পড়তে না চান, তাহলে তাঁকে ওই পেজটি প্রত্যাহার করতে হবে'।
একইসঙ্গে, দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'এটা হতেই পারে যে সারা বিশ্বে আপনাদের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে', কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে 'কোনও বিচারক বা বিচারপতিকে আপনি আতঙ্কিত ক꧃রতে বা তাঁকে হুমকি দিতে পারেন'।
সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি তꦺুষার রাও গেদেলার ডিভ𒉰িশন বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। যে মামলাটি রুজু করা হয়েছিল উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের তরফে।
সংশ্লিষ্ট মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের এক বিচারপতির দেওয়া গত ২০ অগাস্টের একটি রায়ের বিরুদ্ধে আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই রায়ে ওই বিচারপতি নির্দেশ দিয়🐲েছিলেন, উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনকে চারজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের নাম ও পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে হবে।
উল্লেখ্য, সংবাদ সং🦩স্থা এএনআই (এসিয়ান নিউজ ইন্টারন্য়াশনাল) একটি মানহানির মামলা রুজু করেছিল। সেই মামলায় এই চার অ্য়াডমিনিস্ট্রেটরের উল্লেখ করা হয়। কারণ, তাঁরা উইকিমিডিয়ার হয়ে এএনআই সম্পর্কিত পেজে তথ্য সম্পাদন করেছিলেন। যে সম্পাদনায় আপত্তি তুলেছিল এএনআই কর্তৃপক্ষ।
🐭উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি নবীন চাওলা যে নির্দেশ জারি করেছিলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সেই নির্দেশে 'আইনি ভুল' ধরা পড়েছে বলে হা💜ইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে দাবি করেন ডাব্লিউএমএফের আইনজীবী অখিল সিব্বল। তাঁর যুক্তি ছিল, নির্দিষ্ট ইনজাঙ্কশন বা নির্দেশিকা ছাড়া কোনও পক্ষই সংশ্লিষ্ট মামলার বা ঘটনার তথ্যাবলী প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিতে পারে না।
কিন্তু, দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই যুক্তি মানেনি। উলটে, তারা এই গোটা ঘটনায় ডাব্লিউএমএফের অবস্থানের বিরোধিতা করেছে। এর জবাবে পালটা যুক্তি দেন হাইকোর্টে প্রধান বিচারপꦰতি মনমোহন। তিনি মৌখিকভাবে আইনজীবী সিব্বলের কাছে জানতে চান, 'ধরুন কেউ গালিগালাজ করেছে, আপনি তা প্রকাশ্যে আনবেন না?'
এর জবাবে ডাব্লিউএমএফের আইনজীবী আদালতকে জানান, ডাব্লিউএমএফ কোনও মধ্যস্থতাকারীর মতো কাজ করে না। বরং, তা এমন একটি কাঠামো মেনে চ☂লে, যা স্বনিয়ন্ত্রিত। নথিভুক্ত এবং অনথিভুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা গঠিত একটি গোষ্ঠীর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সচল ༺রাখা হয়।
সেই গোষ্ঠীর সদস্যরাই তথ্য সম্পাদনার কাজ করেন। এবং সেই কাজ করা হয় গোষ্ঠীর মধ্যে থাকা 'অ্য়াডমিনিস্ট্রেটর' ও 'আমলা'দের দ্বারা তথ্য যাচাই🌟 করার পর। এক্ষেত্রে কারও পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও অবস্থান নেওয়া হয় না এবং এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কারও পরিচয়ই🐲 প্রকাশ্যে আনা হয় না।
আইনজীবী সিব্বল আরও জানান, সিঙ্গর বেঞ্চের বিচারꦜপতি যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা মানা হলে সেটা নীতিগতভাবে ডাব্লিউএমএফের এই কর্মপদ্ধতি বা প্রচলিত সিস্টেমের পরিপন্থী হিসাবে গণ্য হবে।
ডাব্লিউএমএফের আইনজীবীর এই যুক্তিতে আদালত সন্তুষ্ট হয়নি। প্রধান বিচারপতি মনমোহন এই প্রসঙ্গে বলেন, 'সিস্টেমের নাম করে কোনও কিছু ধামাচাপা দেওয়া যেতে পারে না। এই🐼 সিস্টেম আপনারাই তৈরি করেছেন। আপনাদের ভূমিকা মধ্যস্থতাকারীর তুলনায় অনেক বেশি। আপনাদের এই সিস্টেম এবার বাতিল করা দরকার। কারণ, এই সিস্টেম অস্বচ্ছ। এমনকী, আপনি এটাও বলছেন না যে এই লেখার লেখক কে। আপনি কাউকে এ💙জেন্ট সম্বোধন করে দায় ঝেরে ফেলতে পারেন না। আপনি সেই ব্যক্তির পরিচয় আড়াল করছেন, যিনি এটি লিখেছেন। আমরা আপনাকে এর জন্য সতর্ক করছি।'