এক যুবকের পেট কেটে জীবন্ত আরশোলা বের করলেন চিকিৎসকরা। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমন ঘটনা আবার ঘটে নাকি!🐭 আশ্চর্য সকলেই। কিন্তু বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে। তিন সেন্টিমিটার কেটে ওই আরশোলাকে বের করা হয়েছে ২৩ বছর বয়সের যুবকের পেট থেকে। বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় ওই যুবকের। চিকিৎসকরা ১০ মিনিটের মধ্যে সফল অস্ত্রোপচার করেন অ্যাডভান্স এনডোস্কপি প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে। নয়াদিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকার ফর্টিস হাসপাতালের মুখপাত্র এই খবর জানিয়েছেন।
ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, যুবক পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি রাস্তার খাবার প্রায়শই খেতেন। ওই রাস্তার খাবার খেয়েই পেটের যন্ত্রণা হচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়। তারপর শুরু হয় চিকিৎসা। তবে রোগীর কথা অনুযায়ী, খাবার হজম হতে খুব কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। তার সঙ্গে তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা করছিল কদিন ধরে। তাই তিনদিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎস🔜া শুরু হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচার করতে সময় লেগেছে মাত্র ১০ মিনিট। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ হন ওই হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাক্তার শুভম ভ্𒀰যাৎসা।
আরও পড়ুন: ‘ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে’, হাসিনার ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে বার্তা তৌহিদের
যাইহোক ওই যুবকের নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে একটি ছিল আধুনিক এনডোস্কপি। সেখানেই ধরা পড়ে যায় পেটের ক্ষুদ্রান্তে রয়েছে আরশোলা। তার জেরেই এত সমস্যায় ভুগছেন ওই যুবক। সেই আরশোলা আবার জীবন্ত বলে জানান চিকিৎসক ভ্যাৎসা। দুদিক দিয়ে অত্যন্ত সুচারুভাবে বিশেষ ꦗএনডোস🦋্কপি করা হয়। একদিক দিয়ে জল আর একদিক দিয়ে হাওয়া প্রবেশ করিয়ে এবং নিষ্কাশন করে বের করা হয় ওই আরশোলাকে বলে জানান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। এই চিকিৎসার পর সুস্থ আছেন যুবক। যা একটা বড় সাফল্য চিকিৎসকদের।
তবে চিকিৎসক শুভম ভ্যাৎসা জানান, এই চিকিৎসা যদি সময় মতো না হয় তাহলে প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। দ্রুত এনডোস্কপি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছিল বলেই যুবকটি প্রাণে🦋 বেঁচে গিয়েছেন। খাবারের সঙ্গে কোনও কারণে আরশোলা চলে গিয়েছিল পেটে। আর তা থেকেই বিস্তর সমস্যা শুরু হয়। ঘুমের ঘোরে মুখের ভিতরে আরশোলা চলে যাওয়া এবং বাঁচে থাকাটা কঠিন। খাবারের সঙ্গে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। ওই রোগীকে দেখার পরই সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। তারপরই চিকিৎসা শুরু হতেই মেলে সাফল্য।