নয়াদিল্লিতে আল–কায়দা মডিউলের সন্ধান পেল পুলিশ। এই তথ্যকে সামনে রেখে একটি অপারেশন চালায় দিল্লি পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ঝাড়খণ্ড পুলিশ, রাজস্থান পুলিশ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। একটি বিশেষ এলাকায় আজ হানা দিয়ে তারা ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। এরা সকলেই জঙ্গি সংগঠন আল–কায়দার সঙ্গে যুক্ত বলেই সূত্রের খবর। তিন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে এই সন্ধান পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশে পুলিশের অভিযানে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা প্রত্যেকেই ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী দল। নাশকতার💎 𒅌ছক ছিল তাদের।
এদিকে গোয়েন্দাদের ইনপুটের উপর ভিত্তি করে তিন রাজ্যে অপারেশন চালানো হয়। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই তিন রাজ্যের পুলিশ অভিযান চালায়। তাতেই ১৪ জনকে জালে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই দলটি নয়াদিল্লিতে একটি জঙ্গি দল তৈরির কাজ করছিল। তবে গোপন ইনপুট পেয়ে দ্রুত সকলকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরা সকলেই আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারে দক্ষ। পুলিশ মনে করছে এরা ভারতে নতুন করে জঙ্গি হামলা করার কোনও ছক কষেছিল। তবে সেটা বাস্তবায়িত ক💧রার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেল গোটা দলই। দিল্লি পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, এই মডিউলটির নেতৃত্বে ছিল একজন ডাক্তার।
আরও পড়ুন: ‘দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, আলু নিয়ে এবার হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী
অন্যদিকে ওই বিবৃতি অনুযায়ী, এই জঙ্গি মডিউলের নেতৃত্ব দেওয়া হচ্ছিল ঝাড়খণ্ড থেকে। ইশতিয়াক নামে রাঁচির এক বাসিন্দা এই জঙ্গি গো꧟ষ্ঠীর মাথা বলে সন্দেহ করছে দিল্লি পুলিশ। ভারতে একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের ছক ছিল ওই গোষ্ঠীর। রাঁচির ইশতিয়াকের হাতে নিয়ন্ত্রিত এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষিত। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে এরা সকলেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ রাজস্থানের কোনও একটি গোপন ডেরা থেকে নিয়েছে। গ্রেফতার হওয়াদের তালিকায় রয়েছে রাজস্থানের ৬ জন। তাঁদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলছিল। আর ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ মিলিয়ে আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া ধৃতরা𓆉 সকলেই ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেই খবর। এদের সঙ্গে আর কারা যুক্ত আছে তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত। এই তিন রাজ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। সন্ধান মিলেছে বেশ কি🤡ছু নথিপত্রের। যা জঙ্গি কার্যকলাপের দিকেই ইঙ্গিত করে। এদের থেকে তথ্য নিয়ে আরও একাধিক জায়গায় অভিযান চালানো হবে এবং সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হবে। এই ১৪ জনকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।