গতসপ্তাহের শনিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাটরা। এরপরই রেলে নিজেদের কাজে যোগ দেন এই তিন জনপ্রিয় কুস্তিগির। আর এরই মাঝে কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্তে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় গেল দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, গোন্দা, লখনউ এবং অযোধ্যায় গিয়ে একাধিক মানুষ🎀কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, কুস্তি ফেডারেশনে ব্রিজভূষণের অধীনে কর্মরত কর্মী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলছে।
গোন্দায় ব্রিজভূষণের বাড়িতেও গিয়েছে পুলিশ। সেখানে ব্রিজভূষণের আত্মীয়, কর্মী, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। এদিকে লখনউ এবং অযোধ্যা গিয়েও ব্রিজভূষণের বর্তমান এবং প্রাক্তন সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। তাছাড়া কুস্তি ফেডারেশনের বর্তমান ও প্রাক্তন বেশ কিছু কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে তাদের বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মোট ৭ জন মহিলা কুস্তিগির যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের মধ্য♒ে একজন নাবালিকা ছিলেন। সেই নাবালিকা পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটেরে কাছে পৃথক ভাবে বয়ান রেকর্ড করিয়েছিলেন। যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই নাবালিকা কুস্তিগির নিজের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ১৭ বছর বয়সি সেই কুস্তিগির সিআরপিসি-র ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নতুন করে বয়ান রেকর্ড করিয়েছেন। এই বয়ান আদালতে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বয়ানের ওপর ভিত্তি করে আদালত সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে এই মামলা এগোবে নাকি সেটাকে খারিজ করা হবে। এই আবহে নয়া বয়ানে সেই ১৭ বছর বয়সি কুস্তিগির ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে দিল্লি পুলিশের কাছে সেই নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবা বয়ান দিয়ে বলেছিলেন, 'ব্রিজভূষণের যৌন হেনস্থার জেরে আমার মেয়ে মানসিক অশান্তিতে ভুগছে'। অভিযোগ ওঠে, ছবি তোলার বাহানায় সেই নাবালিকা🐻কে জাপ্টে ধরেছিলেন ব্রিজভূষণ। ইচ্ছে করে ব্রিজভূষণ নিজের হাত সেই নাবালিকার স্তনে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ। পুলিশ বলেছে, নাবালিকা নাকি জানিয়েছে যে তাঁর বয়ানে ভুল বোঝা হয়েছিল। তিনি যা বলতে চেয়েছিলেন তা ফুটে ওঠেনি তাতে। তবে নাবালিকার বাবা নিজের অভিযোগ এখনও প্রত্যাহার করেননি বলেই জানা গিয়েছে।