অঝোর বর্ষণে শহর জুড়ে নেমেছিল স্বস্তি। তবে তা এক মর্মান্তিক ঘটনায় নিমেষে শোকের ছায়ায় পরিণত হল। ঘটনা রাজধানী দিল্লির। সেখানে ৩৪ বছর বয়সী এক মহিল🌼া স্থানীয় রেল স্টেশনের কাছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। ঘটনায় শোকের ছায়া শহরে।
প্রবল গরমের পর শহর জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি। এদিকে, রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হতেই বেশ কিছু জায়গায় জস দাঁড়াতে শুরু করে। জল পেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন বছর ৩৪ এর সাক্ষী আহুজা। রাস্তায় একটি জায়গায় খানা খন্দর ছিল। তাতে বৃষ্টির জল পড়ে মাখামাখি অবস্থা দাঁড়ায়। সেই জায়গাটিকে পেরিয়ে হাঁটতে যাচ্ছিলেন সাক্ষী। কাছেই ছিল একটি বিদ্যুতের স্তম্ভ। তখনই ব্যাপক বিদ্যুতের ‘শক’ লাগে তাঁর। মুহূর্তে তাঁর সা🍷রা শরীরে বয়ে যায় স্রোত। বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে সেখানে পড়ে যান তিনি। রাজধানীতে এহেন মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশে থাকা মানুষ সাক্ষীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সাক্ষীর প্রাণ রক্ষায় শুরু হয় চিকিৎসা। তবে, শেষমেশ আর চিকিৎসায় সাড়া দিতে পারেননি তিনি। ৩৪ বছর বয়সী ওই যুবতী চিকিৎসা চলাকালীনই মারা যান।
নয়া দিল্লি রেলস্টেশ🙈নের ১ নম্বর এক্সিটের কাছে এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি তৈরি হয়। দিল্লির লক্ষ্মী🧜 নগরের প্রিয়দর্শিনী বিহারের লাভলি পাবলিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সাক্ষী। তাঁর এভাবে আকস্মিক চলে যাওয়া স্বভাবতই মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে জানান যাচ্ছে, রাস্তায় সাক্ষীকে ওইভাবে পড়ে যেতে দেখেই ছুটে আসেন কয়েকজন। দেখেন তিনি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। স্থানীয় এলএইচ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাক্ষীকে। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে সাক্ষীর পরিবারের সকলে। তাঁরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতা ও অবহেলার অভিযোগ তোলেন। সাক্ষীর ভাই লোকেশও ক্ষেভে ফুঁসে ওঠেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যে বিদ্যুতের স্তম্ভের কাছে সღাক্ষীর মৃত্যু হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি তারের মুখ উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীও।