ছিনতাইয়ের সময়ে চলন্ত ই-রিকশা থেকে পড়ে গেলেন মহিলা। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর। এখন কোমায় ৪০ বছরের ওই মহিলা।ঘটনাটি পূর্ব দিল্লির সুরজমল বিহারের। তখন দুপুর ১টা। ব্যস্ত রাস্তায় ই-রিক্সা করে বিয়েবাড়ি যাচ্ছিলেন রীতু নামের ওই মহিলা। সঙ্গে ছিলেন বৌদি ও ভাইঝি। হঠাত্ই মোটরবাইকে চলে আসে দুই ছিনতাইকারী।দুষ্কৃতীরা মহিলার পার্স নিয়ে টান মারে। সেটি আটকাতে গিয়ে পার্স জোরে চেপে ধরেন তিনি। উল্টো দিকে ছিনতাইকারীরাও টানতে থাকে। এর ফলে চলন্ত ই-রিক্সা থেকে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। দুষ্কৃতীরা পার্স নিয়ে পালিয়ে যায়।রাস্তায় পড়ার ফলে মাথায় তীব্র আঘাত পান তিনি। অচৈতন্য হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, মহিলার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কোমায় আছেন তিনি। আপাতত তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাটপারগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। অজ্ঞাত ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আনন্দবিহার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৮, ৩৯৪ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় ডাকাতি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আঘাত ও খুনের চেষ্টার মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ছিনতাইবাজদের ধরতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল স্টাফ, অ্যান্টি-অটো থেফট স্কোয়াড এবং শাহদারা জেলার তিন থানার পুলিশ উঠে পড়ে লেগেছে। সাতটি টিম গঠন করা হয়েছে। চলছে চিরুনি তল্লাশি। 'আমরা কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমাদের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজনরা ন'জনের একটি দলের সদস্য। এছাড়াও আরও একটি সূত্র মিলেছে। অপরাধে ব্যবহৃত লাল-কালো পালসার মোটরসাইকেলটি এর আগেও পুলিশের খাতায় এসেছে। আনন্দবিহার এবং সীমাপুরী এলাকায় ১৪ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে তিনটি ছিনতাই হয়। সেখানেও এই মোটরসাইকেলটিই ব্যবহার করা হয়েছিল। আমরা গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি,' জানালেন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (শাহদারা) আর সাথিয়াসুন্দরাম। াম।